Bangla Jokes collection: ধনতেরাসের সন্ধ্যায় কেনাকাটা, আর সকালে দিলখোলা হাসি! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস

১। চিত্রশিল্পীর প্রদর্শনী চলছে। শিল্পী নিজে এলেন সন্ধ্যার পর গ্যালারিতে। গ্যালারির মালিককে জিজ্ঞেস করলেন, কেউ কি ছবি কিনতে চেয়েছেন?

মালিক বললেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, অবশ্যই। একজন এসে বললেন, আপনার মৃত্যুর পর এই ছবিগুলোর দাম আকাশছোঁয়া হবে কি না। আমি বললাম, অবশ্যই হবে। তখন তিনি একসঙ্গে ১৫টি ছবি কিনে নিলেন। দামও দিলেন ভালোই। মনে হয় অনেক ভেবেই ছবিগুলো কিনেছেন।’

শিল্পী: দারুণ তো! কে এই ভদ্রলোক? আমাদের চেনা কেউ? কোনও কালেকটর?

গ্যালারির মালিক: না না, কালেকটর কেন হবেন? আপনার চেনাই। উনি আপনার পারিবারিক ডাক্তার।

(আরও পড়ুন: গোমড়া কেন? একটু হাসুন প্লিজ! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর মন থাকুক ফুরফুরে)

২। ওজন যন্ত্র নিয়ে দুই ভাই আলোচনা করছে। ছোট ভাই একেবারেই শিশু। ওজন যন্ত্র নিয়ে তার খুব ভয় আছে। তার ধারণা, এটা মারাত্মক ব্যথা দেয়। 

তাকে বোঝাতে ওজন মাপক যন্ত্রের ওপর দাঁড়িয়ে বড় ভাই বলল: দেখেছিস, এটা একেবারেই ব্যথা দেয় না।  তুই এত ভয় পাচ্ছিস কেন?

ছোট ভাই: তাহলে মা এটার ওপর দাঁড়িয়েই অমন চিৎকার করে ওঠে কেন?

(আরও পড়ুন: হালকা হালকা শীত, তার মধ্যে মুখে থাকুক হাসি! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস)

৩। রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। অর্ডার করলেন চিংড়ির কাবাব। খাবার এল। কিন্তু ব্যক্তি অখুশি। 

ব্যক্তি: এই যে, ওয়েটার সাহেব! চিংড়ি কাবাবের গলদা চিংড়িটার একটা দাঁড়া কেন? আর একটা কোথায় গেল ?

ওয়েটার: স্যর, মনে হয় লড়াই করতে গিয়ে বেচারা ওটা খুইয়েছে।

ব্যক্তি: ঠিক আছে, যে গলদাটা জিতেছে আমি সেটার কাবাব খেতে চাই।

(আরও পড়ুন: সকালের শুরুতে হাসতেই হবে! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস)

৪। শ্যামলবাবুর চুল প্রায় নেই বললেই চলে। বেচারা চুল কাটানোর পর দোকানদার তাঁর কাছে ৫০ টাকা দাবি করে বসলেন। শ্যামলবাবু বললেন, ‘আমি তো প্রায় টাক-মাথা। আমার চুল কাটার মজুরি ৫০ টাকা চাইছেন কেন?’

নাপিত: ‘স্যর, চুল কাটার জন্য তো ৩০ টাকা। বাকি ২০ টাকা আপনার চুল খুঁজে বার করার মজুরি!’

(আরও পড়ুন: রবিবার সকালে পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস! ছুটির দিন দারুণ মজায় কাটুক)

৫। মাঝবয়সী এক নারীর অস্ত্রোপচার চলছে। ঈশ্বর এসে বসলেন তাঁর পাশে। তিনি ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি মারা যাচ্ছি?’

জবাবে ঈশ্বর বললেন, ‘না, তোমাকে আরও ৩০ বছরের জীবন দেওয়া হলে।’

সুস্থ হয়েই ওই নারী সিদ্ধান্ত নিলেন, যা করার দ্রুত করতে হবে। হাসপাতাল ছাড়লেন না তিনি। ফের ছুটলেন ডাক্তারের কাছে। চুল প্রতিস্থাপন করলেন, বিশেষ ইনঞ্জেকশন নিয়ে ঠোঁট দুটো আরও মোটাসোটা বানালেন, ত্বকের রং বদলালেন। খাটো পোশাকে তাঁকে অসাধারণ দেখাচ্ছিল। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে হনহন করে হাঁটা ধরলেন। রাস্তা পার হচ্ছিলেন। অমনি একটা গাড়ি এসে চাপা দিল তাঁকে। মারা গেলেন ওই নারী।

স্বর্গে গিয়ে তিনি ঈশ্বরের কাছে অভিযোগ করলেন, ‘আপনি বলেছিলেন, আমি আরও ৩০ বছর বাঁচব।’

ঈশ্বর বললেন, ‘হ্যাঁ, ঠিকই তো বলেছিলাম।’

‘এত তাড়াতাড়ি আপনার ত্রিশ বছর শেষ হয়ে গেল,’ প্রশ্ন নারীর।

কাঁধ ঝাঁকালেন ঈশ্বর। বললেন, ‘আমি তোমাকে চিনতে পারিনি মা।’