ভারতের সেমি হাইস্পিড ট্রেন। ভারতের গর্ব। এদিকে এবার বন্দে ভারতকে নিয়ে রয়েছে খুশির খবর। আগামী বছর আরও প্রায় ৫০০টি বন্দে ভারত আসতে চলেছে। এর জেরে বিভিন্ন রুটে বন্দে ভারতের সংখ্যা ধাপে ধাপে অনেকটাই বাড়বে। এর ফলে এক জায়গা থেকে অপর জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে রেলযাত্রীদের।
তবে শুধু তো ট্রেনের সংখ্য়া বাড়ালেই হবে না, যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেকারণে এবার অ্যান্টি ইনজুরি ফিটিংসগুলি ট্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আসলে যদি সজোরে ব্রেক কষা হয় তবে ছিটকে পড়ে যান রেলযাত্রীরা। কিন্তু কামরায় ধারালো কিছু থাকলে তাতে আঘাত বেশি লাগে। সেকারণে এব্যাপারে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
এদিকে সূত্রের খবর, চলতি বছরের জন্য় চেন্নাইয়ের রেল ফ্য়াক্টরি ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেনের পরিকল্পনা করেছেন। তার মধ্য়ে ৬৩টি হবে ৮ কোচ যুক্ত। আর ১২টি বন্দে ভারত ট্রেন হবে ১৬ বগি যুক্ত। এতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যও থাকবে একেবারে উন্নত ধরনের। যাত্রীধারণ ক্ষমতাও বাড়বে। সব মিলিয়ে বন্দে ভারত নিয়ে মেগা পরিকল্পনার দিকে যাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি চেন্নাইয়ের জেনারেল ম্যানেজার বিজি মালিয়া জানিয়েছেন, ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি আগামী বছরের জন্য প্রায় ৫০০-৫৫০ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের টার্গেট নিচ্ছে।
এককথায় দেওয়ালির মুখে এবার বড় খুশির খবর ভারতের রেলযাত্রীদের জন্য। আগামী বছর দেশে আসছে আরও ৫০০টি বন্দে ভারত। বাস্তবে যদি টার্গেট অনুসারে ধাপে ধাপে এই বিপুল সংখ্যক বন্দে ভারত আসতে পারে দেশে তবে গোটা রেল ব্যবস্থার ছবিটার অনেক বদল ঘটবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বন্দে ভারতের টিকিট হয়তো অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় কিছুটা বেশি। কিন্তু যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে অনেকের মতে বিমানের মতো। তবে বিজি মালিয়া ইএমইউ কোচ নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের ৭৫০টি ইউএমইউ ধরনের কোচ ও প্রায় ১০০টি বিশেষ কোচ তৈরির টার্গেট রয়েছে।