৫ হাজার টাকার জন্য স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামে দাবিকৃত পাঁচ হাজার টাকা না পেয়ে স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন মো. রাসেল নামের এক যুবক। এতে তার স্ত্রী নাজমা আক্তারের (২০) শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় রবিবার (১২ নভেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে নাজমার স্বামী রাসেল, দেবর মামুন, শ্বশুর ফখরুল ইসলাম ও শাশুড়ি সফুরা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে ওই গৃহবধূকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবার জানায়, পাঁচ বছর আগে মুজাহিদপুর গ্রামের মো. রাসেলের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমার। বিয়ের পর থেকে রাসেলকে কয়েক দফায় দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয় নাজমার পরিবার। গত ৬ নভেম্বর অটোরিকশার কাগজপত্র নবায়ন করতে স্ত্রীর কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন রাসেল। তার দাবিকৃত টাকার জন্য বাবার বাড়ি গিয়ে না পেয়ে শনিবার সকালে খালি হাতে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন নাজমা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার দুপুরে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন রাসেল। তাতে বাধা দেন নাজমা। একপর্যায়ে নাজমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে নাজমাকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগুন দেওয়ার আগে ও পরে শ্বশুর-শাশুড়ি ঘরে থাকলেও কেউ নাজমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইস্তিয়াক হোসেন বলেন, ‘আগুনে নাজমার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হতে পারে।’

বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই স্পেস ল্যাব চৌধুরী প্রমোজ বলেন, ‘দাবিকৃত পাঁচ হাজার টাকা না পেয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা থানায় মামলার আবেদন করেছেন। মামলা দায়েরের পর আটককৃত চার জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’