‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন হবে একটি মাইলফলক’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন হলে হয়রানি প্রতিরোধে এটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

রবিবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিষয়ে একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও সুপ্রতিষ্ঠিত আইনের খসড়া প্রস্তুত করা। খুব শিগগির এ আইনের খসড়া প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সম্ভব। আমাদের হাতে যে সময় রয়েছে সে সময়ে পর্যাপ্ত আলোচনা-সমালোচনা, প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনার মাধ্যমে এটি প্রণয়ন করতে হবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পাওয়া খসড়াগুলোতে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। সবগুলো খসড়াকে সমন্বিত করে কমিশন নিজে একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে।’

আইন প্রণয়নের পাশাপাশি কমিশনের চেয়ারম্যান যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

কমিশনের সম্মানিত সদস্য ড. তানিয়া হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও ছিলেন– কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সম্মানিত সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব মাকসুদা পারভীন এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ডিসএবলড চাইল্ড ফাউন্ডেশন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

সভায় কমিশনের পক্ষ থেকে আইনটির খসড়া সংক্রান্ত একটি উপস্থাপনা পেশ করা হয়।