রোগীকে ভর্তির ২ দিনের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে অস্ত্রোপচার, সিদ্ধান্ত RG করে

রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যে একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। তা সত্ত্বেও বড় হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়ার জন্য ডেট পেতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন রোগীরা। শয্যা পাওয়ার জন্য অনেক সময় রোগীদের বেশ কয়েক মাস ধরে হাসপাতালে ঘুরতে হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে ভর্তির পরেও দিনের পর দিন হাসপাতালেই রাখা হয়। তারপরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এই অবস্থায় দ্রুত রোগীকে ছেড়ে দিতে পারলে নতুন রোগীরা ভর্তি হতে পারবেন। ফলে রোগীদের সমস্যা কমবে। সেই কথা মাথায় রেখে এবার নয়া সিদ্ধান্ত নিল আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সেক্ষেত্রে কোনও রোগীকে ভর্তির পর সপ্তাহের পর সপ্তাহ ফেলে রাখা যাবে না। চিকিৎসা শেষ করে যতটা দ্রুত সম্ভব সুস্থ করে রোগীদের বাড়ি পাঠাতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: আরজিকরে রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে সরানো হল শান্তনুকে, অধ্যক্ষ পদে ফিরলেন সন্দীপ

হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও রোগীকে ভর্তি করার পর যদি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে ভর্তির দু’দিনের মধ্যেই তা সেরে ফেলতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম হল আরজিকর হাসপাতাল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে প্রতিদিন প্রচুর রোগীর চাপ থাকে। কলকাতা তো বটেই প্রতিদিন এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। বিশেষ করে অর্থোপেডিক, স্নায়ু এবং প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার জন‌্য প্রচুর ভিড় হয় এই হাসপাতালে। সাধারণত এই হাসপাতালে যেমন ভর্তি হতে গিয়ে সমস্যা হয়, তেমনই ভর্তির পরেও দিনের পর দিন হাসপাতালে থাকতে হয় রোগীদের। অস্ত্রোপচারের ডেট পেতে গিয়েও সমস্যা হয়। তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রোগীদের অভিযোগ ছিল। 

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় এ বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের তিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এবং ইউনিট প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেই আলোচনাতেই শয্যার সমস্যার সমাধানের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুদীপ্ত বাবু জানান, এভাবে দিনের পর দিন রোগীকে ফেলে রাখা যাবে না। ভর্তি করার দু দিনের মধ্যেই অস্ত্রোপচার করে ফেলতে হবে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে যতটা সম্ভব দ্রুত রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠাতে হবে। তবে রোগী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া যাবে না বলেও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। কারণ, এখনই হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। তার উপর রেফারও সম্ভব নয়। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি।