মা একশো দিনের টাকা পাইয়ে দাও, শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথিতে কালীপুজোর থিম

বাংলার আবাস যোজনা এবং একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ রাজ্যের শাসকদল এবং সরকারের মুখে বারবার উঠে এসেছে। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনে নেমেছিলেন। আর নয়াদিল্লি পৌঁছেছিলেন। তার পর রাজভবনের বাইরে ধরনায় বসেছিলেন। এবার সেই পাওনা টাকাকেই কালীপুজোর থিম করেছে কাঁথির এক পুজো কমিটি। আর তাতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ এটা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলেই ধরা হয়। সেখানে কেন্দ্র বিরোধী এমন থিম বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে অধিকারীদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জও কাঁথিতেই। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরে এমন থিম বেছে মণ্ডপ তৈরি করেছে প্রখ্যাত হঠাৎকালী মায়ের ভক্তরা। কাঁথি আউটডোর মোড়ে এবার তাঁদের শ্যামাপুজোর থিম ‘নির্মাণ’। ১০০ দিনের প্রকল্পের শ্রমিকরা মিলে এখানে হঠাৎকালী মায়ের মন্দির নির্মাণ করছেন। আর কালীপুজোর দিন মায়ের কাছে তাঁরা প্রার্থনা করছেন, ‘‌মা একশো দিনের টাকা পাইয়ে দাও। খুব শীঘ্রই যেন বকেয়া টাকা হাতে আসে। আর সবসময় যেন কাজ জোটে।’‌ আসলে টাকাও বন্ধ। আবার নতুন কাজও বন্ধ। এই কারণেই এমন থিম বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে।

অন্যদিকে হঠাৎকালী পুজো কমিটির এই পুজো এবার সাত বছরে পা দিয়েছে। এখানে মণ্ডপ পরিকল্পনায় রয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী সুতনু মাইতি। শিল্পীর পরিকল্পনায় মণ্ডপ নির্মাণের কাজ করেছেন জবকার্ডধারী একশো দিনের শ্রমিকরা। সাত বছর ধরে দুই হাতের মা হঠাৎকালী মূর্তি এখানে আদিবাসী রমণী রূপে পুজিত হন। এবার তাতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এমন কালী পুজোর থিম অন্য মাত্রা যোগ করেছে। এবার মা হঠাৎকালী এখানে নতুন রূপে আসছেন বলে জানালেন ভক্তরা। ভক্তি ভরে এখানে সারারাত নিষ্ঠার সঙ্গে হঠাৎকালী মায়ের আরাধনা অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

আরও পড়ুন:‌ বাড়ল উচ্চমাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা, পড়ুয়াদের লেট ফাইনের ব্যবস্থাও থাকছে

এখানে কালীপুজোর দিন মায়ের কাছে মাছ ভোগ দেন ভক্তরা। মহিলা–পুরুষরা পুজোর দিন এখানে মানত করেন। ভক্তদের বিশ্বাস মা খুব জাগ্রত। তাই যে যা মানত করেন, তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। ভক্তদের এখানে বসিয়ে ভোগ খাওয়ানো হয়। এখানকার কালীপুজোর অন্যতম কর্মকর্তা প্রণব মিশ্র বলেন, ‘‌মায়ের পুজোয় যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য এখানে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না। কোনও চাঁদা তোলা হয় না। ভক্তদের প্রণামী দিয়েই মায়ের প্রত্যেক বছর পুজো হয়।’‌ এবার ব্যতিক্রমী থিম ও মন্ডপ করার জন্য এখানকার হঠাৎ কালী মায়ের পুজো খুব সাড়া ফেলে দিয়েছে। এই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি।