‘‌মা সেই প্রার্থনা মেনে নিয়েছেন’‌, তারাপীঠে পুজো দিয়ে মনস্কামনার কথা জানালেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ

আজ কালীপুজো। তাই বিভিন্ন কালীপুজোর মণ্ডপ থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে পুজো দিয়ে থাকেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে নেতা–মন্ত্রীরা। নানা প্রার্থনা তাঁরা করে থাকেন। এমন দিনে তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তদের ঢল নেমেছে। সেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হাজির হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। আর তখনই তিনি কী প্রার্থনা করলেন তা শুনতে উদগ্রীব বঙ্গবাসী। এখানেই জনতার জন্য আশীর্বাদ চেয়ে নেন মন্ত্রী। আবার জনতার হয়েই পুজো দেন। রাজ্যে অশুভ শক্তিকে সরিয়ে যাতে প্রকৃত আলো ফুটে ওঠে মানুষের জীবনে সেই প্রার্থনাই করেছেন তিনি। বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এমনই প্রার্থনা করেছেন।

মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাড়তি নজর দেয় মন্দির কমিটিও। তবে তিনি সাধারণের মাঝে মিশে গিয়েই আজ পুজো দিলেন। তারাপীঠে পুজো দিয়ে বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অত্যন্ত খুশি। সেখান থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দীপান্বিতা অমাবস্যায় তারাপীঠে পুজো দিয়ে বলেন, ‘‌মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, যে ভোট আসছে তাতে বিয়াল্লিশটা আসনের মধ্যে যেন বিয়াল্লিশটাতেই আমরা জিততে পারি। মা সেই প্রার্থনা মেনে নিয়েছেন, আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।’‌ মন্ত্রীর এই মন্তব্য রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চার ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কারণ ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিই তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে বিরোধীরা কার্যত শূন্য হয়ে যাবে রাজ্যে।

এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই মাটিতে দাঁড়িয়েই অমিত শাহ ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছেন। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ৪০টা টার্গেট করে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ বলেন, ‘‌প্রত্যেক বছর ভোটের আগেই আমি এখানে পুজো দিতে আসি। এবারও তাই এলাম। আমাদের একটাই দাবি মায়ের কাছে। বাংলা যেন শান্তিতে থাকে। বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে নিয়ে যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন নানা বাধা সত্ত্বেও, বিজেপি সরকার, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বাধা সত্ত্বেও, তেমনই যেন চলেন। আর সামনে যে লোকসভা নির্বাচন। তাতে আমরা ৪২–এ ৪২টা আসনই যেন পাই। বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয় যেন হয়। সেই প্রার্থনা করে এসেছি মায়ের কাছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকলেন সুকান্ত মজুমদার, জেপি নড্ডাকে কী জানালেন?‌

আপনার এই প্রার্থনা কি সফল হবে? এই প্রশ্ন করা হয় রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে। তিনি সটান উত্তর দেন, ‘‌মা আমার প্রার্থনা শুনেছেন। বেরনোর সময় পকেটটা দরজায় আটকাল, মা’‌ই আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য দরজা আটকে দিলেন। তিনি আশীর্বাদ করেছেন।’‌ রাজ্যের মন্ত্রীর এই মন্তব্য এখন ছড়িয়ে পড়েছে। এখানের নেতা অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন জেলে। কেন্দ্রীয় সরকার ইডি–সিবিআই লাগিয়ে এসব করছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ। তাই এমন প্রার্থনা মন্ত্রীর বলে মনে করা হচ্ছে।