Mahua Moitra: ঘাড়ের ওপর ঝুলছে সাংসদ পদ খারিজের খাঁড়া, সেই মহুয়াকে জেলা সভাপতি করল তৃণমূল

টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজ হওয়া এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। আর সেই পরিস্থিতিতে মহুয়ার পদোন্নতি হল তৃণমূলে। কল্লোল খাঁকে সরিয়ে লোকসভা ভোটের আগে মহুয়াকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করল তৃণমূল। তবে অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূম জেলা সভাপতির পদ থেকে সরায়নি দল।

লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর মাস কয়েক। তার আগে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজের পক্ষে সওয়াল করেছে সংসদের সহবৎ সমিতি। এর পর আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মহুয়াকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দিল তৃণমূল। সরানো হল কল্লোল খাঁকে।

এছাড়া বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করা হয়েছে। শাওনী সিংহরায়কে সরিয়ে সেখানে আনা হয়েছে অপূর্ব সরকারকে। শাওনীকে রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছে। একই ভাবে রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। তবে তৃণমূলের অন্দরে কেষ্টর আসন এখনও তলব। তিহাড়ের কালকুঠুরিতে বন্দি কেষ্টকে বীরভূমের জেলা সভাপতি পদেই বহাল রেখেছে দল।

লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়াকে সভানেত্রী করায় নানা তাৎপর্য খুঁজছে রাজনৈতিক মহল। প্রথমত কৃষ্ণনগর তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি কেন্দ্র। এই লোকসভা একদা ছিল বিজেপির দখলে। গত লোকসভা নির্চাচনেও সীমান্তবর্তী এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পালে হাওয়া ছিল ভালোই। যার ফলে কৃষ্ণনগরকে ধরে রাখতে খাটতে হবে তৃণমূলকে। দ্বিতীয়ত সাংসদ পদ খারিজের সঙ্গে মহুয়ার ভোটে লড়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মহুয়াকে পুরোদমে দলের কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল।