আর বীরভূমের জেলা সভাপতি নন অনুব্রত মণ্ডল, নতুন কে দায়িত্ব নিল সেখানে?‌

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন করা হল। একাধিক সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এবং জেলা চেয়ারপার্সন পদে বদল করা হল। আর তখন থেকেই উৎসাহ তুঙ্গে উঠেছে, বীরভূমের জেলা সভাপতি পদের পরিবর্তন হল কি?‌ বীরভূম জেলা তাহলে কে সামলাবেন?‌ এখানের জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এখন তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। সেখানে লোকসভা নির্বাচন কেমন করে সামলাবে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ উঠছে প্রশ্ন।

এদিকে এখন এই জেলায় আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার চেয়ারম্যান। নতুন তালিকায় তাই দেখা যাচ্ছে। আর এবারের নতুন তালিকায় বীরভূম জেলা সভাপতির নামের পাশে কোনও ব্যক্তির নাম নেই। বরং জেলা সভাপতির পাশে লেখা রয়েছে ‘কোর কমিটি টু কমিটি’। এখন কোর কমিটি তার মানে সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে আছেন কাজল শেখ। সুতরাং ঘুরিয়ে তাঁর পদোন্নতি ঘটল বলা চলে। যদিও এই বিষয়টি তালিকায় উল্লেখ করা নেই। যেহেতু কাজল শেখ এখন গোটা বীরভূম সামলাচ্ছেন এবং কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সেহেতু তাঁর ডালপালা বাড়ল বলেই মনে করছেন জেলার বহু নেতা। যদিও কাজল শেখের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে।

অন্যদিকে আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ২০২২ সালের অগস্ট মাসে যে জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে জেলা সভাপতির পাশে লেখা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের নাম। কিন্তু জেলা সংগঠন ধরে রাখতে এবং সক্রিয় করে তুলতে দরকার ছিল নেতার। সেখানে কারও নাম আনলে জেলে বসে কষ্ট পাবেন কেষ্ট। তাই সবটাই বলা হল পরিবর্তিত তালিকায়, অথচ কিছুই বলা হল না। এমন একটা অবস্থা রাখা হয়েছে। এখন অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে জেলা সংগঠনের দায়িত্ব সামলাচ্ছিল কোর কমিটি। সেটাকেই এবার সামনে আনা হল। সুতরাং লোকসভা নির্বাচন কোর কমিটিই দেখভাল করবে।

আরও পড়ুন:‌ বাঁকুড়ার টানা ৯ বারের সাংস‌দ বাসুদেব আচারিয়ার জীবনাবসান, শোকের ছায়া সিপিএমে

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই বীরভূম দখল করতে চায় বিজেপি। সেটা দুর্গাপুজোর আগে অমিত শাহকে নিয়ে এসে ইঙ্গিত দিয়েছিল বিজেপি। এবার সেই ছক বানচাল করতে নতুন ধাঁচে খেলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে সাপও মরবে আবার লাঠিও ভাঙবে না। কেষ্টও কষ্ট পেল না। আবার সংগঠনকে সক্রিয় করে লোকসভা আসন জেতা সম্ভব হবে। এমনটাই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। যদিও বীরভূমে দলের জেলা সংগঠনের ভিত শক্তের ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের কোনও বিকল্প নেই। তবে নতুন তৈরি করা কোর কমিটির উপরেই আপাতত ভরসা রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস।