পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিহতদের পরিবারের জন্য সুখবর, বড় সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে

হিংসা, খুনের অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে। কম হলেও হয়েছিল। এই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছিল কমবেশি ৩৫ জন। হামলার শিকার হয়েছেন ভোটকর্মীরাও। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ ভোটকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। আজ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক হিংসার বলি হওয়া নিহতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।

এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক হিংসার বলি হওয়া নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে পঞ্চায়েত হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজনকে হোম গার্ড ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবো কঠিন পরিস্থিতিতে এবার আশার আলো দেখতে শুরু করলেন নিহতদের পরিবারগুলি।

এদিকে অনেকে বলছেন, এটা শীত পড়ার আগে সুখবর। যে পরিবারগুলি জীবন কেমন করে কাটাবে ভাবছিল তারা এখন একটা নিশ্চিন্ত আয়ের পথ খুঁজে পেলেন। অন্ধকারের মধ্যে একটু আলো জ্বলে উঠল সেই সব পরিবারে যাঁরা নিজেদের আপনজনকে ভোটের হিংসার জন্য হারিয়েছেন। পরিবারে রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি ঘরে। আজ তাঁরা এই খবর জানতে পেরে বাঁচার রশদ পেয়েছেন। তবে এটা নিঃসন্দেহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মাস্টারস্ট্রোক। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও বছর ঘুরলেই হবে লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সরাসরি এই পদক্ষেপে ভোটবাক্স ফুলেফেঁপে উঠবে বলে অনেকের ধারণা।

আরও পড়ুন:‌ কুলগামে পাঁচ লস্কর–ই–তৈবার জঙ্গি নিকেশ, ভূস্বর্গে বড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী

অন্যদিকে এটা ঘটনা যে, এই বিপদের মুহূর্তে চাকরি দিয়ে সাহায্য করাটা বড় উপকার এবং সুখবর বলা যেতে পারে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় এমন ঘটনা নজিরবিহীন নয়। কারণ ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিহত হয়েছিলেন ৭৬ জন। ২০০৮ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৬। ২০১৩ সালে সেটা বেড়ে নির্বাচনে হিংসার বলি হয়েছিলেন ৩৯ জন এবং ২০১৮ সালে কমে হয় ২৯ জন। হিংসার অভিযোগ নিয়ে সরব হয় বিরোধী শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে আদালতে দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। ভোট হিংসায় নিহতদের তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস–সব বিরোধী দলের নেতা–কর্মীর নাম রয়েছে।