একাধিক তথ্য চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন, সমস্ত রিপোর্ট পাঠাতে চলেছে নবান্ন

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার প্রস্তুতির জন্য সব রাজনৈতিক দলই ময়দানে নেমে পড়েছে। নিজেদের এবং দলের সম্পর্কে মানুষের সামনে তুলে ধরতে নানা গুণাবলী তৈরি করছেন। সমস্ত রাজনৈতিক নেতারাই এখন নিজেদের ‘‌ক্লিন ইমেজ’ তুলে ধরতে জোরদার চেষ্টা চালাচ্ছেন‌। ইতিমধ্যেই বাংলার বুকে নানা সভা–সমাবেশ শুরু হয়েছে। সেখান থেকে একে–অপরকে তুলোধনা করছেন সকলেই। যুযুধান প্রতিপক্ষের এই আক্রমণের আবহে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তুঙ্গে উঠেছে তৎপরতা। এবার সেটাই বড় খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে লোকসভা নির্বাচনের কাজ শুরু করতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে থানা ভিত্তিক রিপোর্ট পাঠাচ্ছে নবান্ন বলে সূত্রের খবর। লোকসভা কেন্দ্র এবং তার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় থানা কোনটি সে বিষয়ে তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। তবে এটা শুধু বাংলার জন্য নয়। প্রত্যেক রাজ্যের ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে বলে খবর। ২০২৪ সালের মার্চ মাস নাগাদ লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার কথা। তাই লোকসভা কেন্দ্র ভিত্তিক থানা জেনে নেওয়ার কাজ চলছে। যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা যায়। কোন লোকসভা কেন্দ্রের কোন থানায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে তার আগাম পরিকল্পনা করতেই প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে।

অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা–সহ নানা পদক্ষেপ সংক্রান্ত তথ্য ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে পাঠাতে পারে নবান্ন। তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল, কোথায় মোতায়েন করা হয়েছিল, বুথ সংখ্যা কত ছিল, স্ট্রং রুমের সংখ্যা কত ছিল সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জোগাড় করছে নবান্ন। কারণ এগুলিই জানতে চায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেখানে এবার অর্ধেক পেতে পারে বলে তাঁদের সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌কেষ্ট মণ্ডলের পাশে দেখতে চাই’‌, মলয় ঘটককে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

তারপরই এমন সব তথ্য জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে এখন জোর আলোচনা শুরু হয়েছে অফিসারদের মধ্যে। কারণ দ্রুত সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তাহলে কি লোকসভা নির্বাচন তাড়াতাড়ি হবে?‌ উঠছে প্রশ্ন। এই নানা তথ্য জানতে চাওয়ার মধ্যে একটা তথ্য সবার চোখে লেগেছে। সেটি হল—২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোথায় কত বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল?‌ আর তাতেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এবার দেশের তামাম বিরোধী দলগুলি এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে।