‘বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বিনা বিচারে গুলি করা উচিত’ বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেস সাংসদের

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এখনও চলছে। তাতে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই আবহে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেরলের কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাজমোহন উন্নিথান।  ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে কংগ্রেস সংসদের একটি মন্তব্য তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। কেরলের কাসারগড়ে ইজরায়েল–গাজার যুদ্ধের প্রতিবাদে একটি সমাবেশে তিনি বলেছেন, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী। বিচার না করেই তাঁকে গুলি করা উচিত। 

আরও পড়ুন: ইজরায়েল প্যালেস্তাইন সংঘাত নিয়ে পোস্ট, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করায় গ্রেফতার মডেল

শুক্রবার কাসারগড়ে ইউনাইটেড মুসলিম জামাত এই সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে যোগ দিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসিদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য নুরেমবার্গ ট্রায়াল চালু করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বিনা বিচারে যুদ্ধাপরাধীদের গুলি করা হয়েছিল। এখন আবার নুরেমবার্গ মডেল পরীক্ষা করার সময় এসেছে। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিশ্বের সামনে দাঁড়িয়েছেন। তাই নেতানিয়াহুকেও বিচার ছাড়াই গুলি করার সময় এসেছে। কারণ তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী।’

এদিন সমাবেশে তিনি যোগ দিয়ে আরও বলেন, ‘যারা জেনেভা কনভেনশনের সব চুক্তি ভঙ্গ করবে তাদের শাস্তি পেতে হবে।’ উল্লেখ্য, কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে প্যালেস্তাইনের জনগণকে সমর্থন করে আগামী ২৩ নভেম্বর কোঝিকোডে একটি সমাবেশের আয়োজন করতে চলেছে। উদ্বোধন করবেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল। তার আগে কংগ্রেস নেতা রাজমোহন উন্নিথানের এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

এখানেই থেমে থাকেননি কংগ্রেস সাংসদ। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ছাড়াও কাসারগড়ে আমেরিকাকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ইরাকে  আরব বা মুসলমানকে হত্যা করেছে। আফগানিস্তানে ৭০ লাখ মুসলমানকে হত্যা করেছে, কোরিয়া ও ভিয়েতনামে নিরপরাধকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও ইজরায়েলের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে দলের তরফে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেছিলেন। তিনি কেন্দ্রের কাছে দাবি করেছিলেন যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতি আনতে হস্তক্ষেপ করা উচিত।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাস বাহিনী গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাশাপাশি তেল আবিবের ভূখণ্ডে ঢুকে হাজারেরও বেশি মানুষকে খুন করার পাশাপাশি পণবন্দি করে ২০০ জনকে। এরপর গাজাকে হামাস মুক্ত করতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইজারায়েল। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় শিশু সহ ১২ হাজারের বেশি প্যালেস্তাইনের নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।