ছাত্রলীগ কর্মী আরিফের শরীরে ধারালো অস্ত্রের ২০ আঘাত

সিলেট নগরীর টিবিগেইট এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদের (১৯) শরীরে ধারালো অস্ত্রের ২০টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতে আরিফের রক্তনালি কেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়। এ ছাড়া তার শরীরে আরও তিনটি হালকা জখমের চিহ্ন রয়েছে।

আরও খবর: সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যায় নিজ দলের দুজন আটক

মঙ্গলবার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামসুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত আরিফের দুই পায়ের উরু, পায়ের গোড়ালিতে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে। পায়ের উরুর আঘাতগুলো মারাত্মক হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বাসার সামনে ওয়াকওয়েতে আরিফের ওপর হামলা চালায় একদল যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি।

নিহত আরিফ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।

নিহতের মা আঁখি বেগম বলেন, ‘কাউন্সিলর নিপুর নেতৃত্বে আমার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আগের মামলার আসামিদের যদি পুলিশ গ্রেফতার করতো তাহলে আমার ছেলে বেঁচে যেতো।’