Courier Scam: মাদকের পার্সেলে আপনার নাম লেখা রয়েছে! এই ফোন পেলে সাবধান! কী করবেন জেনে নিন

এবার ক্যুরিয়ার কেলেঙ্কারি। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করল ব্যাঙ্ক। গত মাসে অন্তত ৩০টি ক্ষেত্রে এই ধরনের কেলেঙ্কারির কথা সামনে এসেছে। মাদক রয়েছে ওই পার্সেলে বলে প্রতারণা করা হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে বিরাট চক্র।  এই ধরনের ফোন পেলে কী করবেন? 

ঠিক কীভাবে এই প্রতারণার জাল ছড়ানো হচ্ছে? 

শুল্ক দফতরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ফোন করা হচ্ছে। এরপর বলা হচ্ছে আপনার নামে পার্সেল বুক করা রয়েছে। তার মধ্য়ে অবৈধ মাদক রয়েছে বলে ফোনে বলা হচ্ছে। এরপর স্বাভাবিকভাবেই ভড়কে যাবেন সাধারণ মানুষ। আর তারপর থেকে টাকা আদায়ের ছক কষছে প্রতারকরা।মাদ্রাজ হাইকোর্টের এক কর্মচারীর মেয়ের দাবি মুম্বই কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে তার কাছেও ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল আপনার নাম লেখা একটা মাদক ভর্তি পার্সেল ধরা পড়়েছে। 

একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হচ্ছে নানা কায়দা করে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের ফোন এলে পুলিশকে জানানো ব্যাপারে বলা হচ্ছে। 

এদিকে প্রতারকরা তাদের কাজের ধরনে বার বারই বদল করে। এবার নতুন কায়দা। ফোন করে বলা হচ্ছে আপনার নামে পার্সেল এসেছে। তার মধ্যে মাদক রাখা আছে। এরপর নানাভাবে ভয় দেখানো শুরু হয়। এদিকে সেই ভয়টা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে তাদের কাছ থেকে বিপুল টাকা আদায় করা হচ্ছে। 

এভাবে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৬৬ বছর বয়সি এক বাসিন্দার কাছেও এই ধরনের ফোন এসেছিল। কুরিয়ার অপারেটর হিসাবে তার কাছে ফোন এসেছিল। তাইওয়ান থেকে তার নামে একটা ক্যুরিয়ার এসেছিল বলে দাবি করা হয়। সেখানে বলা হয় আপনার ঠিকানায় একটা কুরিয়ার এসেছে। সেখানে ৯৫০ গ্রাম মাদক রয়েছে। তার মধ্যে ক্রেডিট কার্ড, মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া পাসপোর্টও রয়েছে। এদিকে আন্ধেরির মুম্বইয়ের পুলিশের নাম করেও ভয় দেখানো হয়।

এদিকে তারপরই অপর এক প্রতারক তাকে ফের ফোন করে দালি করে মুম্বইয়ের সাইবার ক্রাইম শাখা থেকে বলছি। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানানো হয়। এদিকে তারপর প্রায় ১.৫২ কোটি টাকা পাঞ্জাব ন্য়াশানাল ব্যাঙ্কে পাঠাতে বলা হয়। সেই মতো তিনি ওই টাকা পাঠিয়ে দেন। বলা হয় ৩০-৪০মিনিটের মধ্য়ে পরীক্ষা করে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে। কিন্তু সেই টাকা আর ফেরত আসেনি। তবে শুধু তিনি নন, একের পর এক বাসিন্দার কাছে এই ধরনের ফোন আসছে বলে খবর। 

এক্ষেত্রে এই ধরনের ফোন এলে কথা বলবেন না।ওটিপি দেবেন না।সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। সন্দেহজনক নম্বর হলে ফের ফোন করবেন না। প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলুন।