Kunal Ghosh: কারা উপরমহলকে পরামর্শ দেয়? আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, দলের একাংশের ভূমিকায় বিস্ফোরক কুণাল

কুণাল ঘোষ। ১০ বছর আগে রাজ্য সরকারের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাকে। সারদা মামলায় গ্রেফতার করেছিল তাকে। এরপর তীব্র জেল যন্ত্রণা। তবে সেই গ্রেফতারের ১০ বছর পূর্তিতে মনের কোণে জমে থাকা যন্ত্রণা যেন উসকে উঠেছে আরও একবার। এবিপি আনন্দে মুখ খুলেছেন কুণাল। 

তার মধ্যে বিজেপির সভা আটকাতে গিয়ে আদালতে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। সেই প্রসঙ্গেও এবিপি আনন্দে মুখ খুলেছেন কুণাল। বলা ভালো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। 

কুণাল বলেন, কোর্টের হাওয়ায় যে মামলার গতি বোঝা যায়, বিচারপতিদের মনোভাব বোঝা যায় সেখানে কোনও কোনও বিষয়ে রোজ আদালতে রাজ্য সরকারকে অপদস্থ হতে হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন কারা উপরমহলকে পরামর্শ দেয়? রোজ নন ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।এতে মুখপাত্রদের কাজ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। 

দৃশ্যতই বিরক্ত কুণাল। তিনি বলেন, একবার ভুল হলে মানা যায়। কিন্তু ১৪ বার একই ভুল হচ্ছে। তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। মুখপাত্রের কাজই হল দল ভুল করলেও সেটাকে ঠিক বলে বাজারে মার্কেটিং করা। কিন্তু বার বার হতে থাকলে সেই কাজে আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। 

একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য কুণাল ঘোষ। তবে এবারই প্রথম তিনি এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তেমনটা নয়। এর আগেও তিনি নানা সময়ে এমন মন্তব্য করেছেন যাতে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। 

কিন্তু আদালতে ঠিক কতটা ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার যেজন্য এতটা বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন কুণাল? 

আসলে প্রতি বছর ২১শে জুলাই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। সপ্তাহের যে দিনই হোক না কেন গোটা এলাকা অবরূদ্ধ হয়ে যায়। বহু মানুষের ভোগান্তি হয়। কিন্তু সেই সভা নিয়ে কখনওই রাজ্য সরকার আপত্তি তোলে না। এদিকে আগামী ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের সেই জায়গাতেই সভা করা আর্জি জানিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আর সেই আদালতেই জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। আদালত জানিয়ে দিয়েছে ওখানে অন্য দল সভা করতে না পারলে ২১ শে জুলাইয়ের সভাও বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপরই মুখ খুললেন কুণাল। অভিমানটা ঠিক কাদের উপর ?