Student Death: কাল হল সেলফি! ওড়িশার জলপ্রপাতে কলকাতার ছাত্রের দেহ, নয়া গাইডলাইন আনছে কলেজ

কলকাতার আশুতোষ কলেজের ছাত্র তারাশঙ্কর সরকার। অবশেষে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হল ওড়িশার জলপ্রপাতে। ২৪ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি। ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছিল জলপ্রপাতে। সেখান থেকে শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে দেহ। ওড়িশার কেওনঝড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর ফিরে আসেননি। এরপর জলপ্রপাত থেকে দেহ উদ্ধার করা হল। 

তবে এই ঘটনার জেরে নড়ে বসেছে কলেজ। এবার শিক্ষাভ্রমণে গিয়ে মোবাইলের ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাইডলাইন আনার পরিকল্পনা নিচ্ছে কলেজ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেলফি তোলার পরিণতি কী হতে পারে সেব্যাপারে সতর্ক করা হবে পডুয়াদের। আগামীদিনে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়ে সেকারণে শিক্ষামূলক ভ্রমণে যাওয়ার আগেই একাধিক গাইডলাইন সম্পর্কে জানানো হবে পড়ুয়াদের। 

এমএসসির পরিবেশ বিজ্ঞানের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিলেন তারাশঙ্করের। বাড়ি আরামবাগে। ময়না তদন্তের পরে দেহ বাংলায় নিয়ে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। 

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে জলপ্রপাতের কাছে সেলফি তুলছিলেন তিনি। সেই সময় কোনওভাবে তিনি জলপ্রপাতের মধ্য়ে পড়ে যান। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তার খোঁজে ব্যপক তল্লাশি চালানো হয়। ঝর্ণার জলটা ঠিক যেখানে পড়ছিল সেখানও ডুবুরিরা তল্লাশি চালান। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা হল তার নিথর দেহ। পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ৩৮জন ছাত্রছাত্রী গিয়েছিলেন শিক্ষামূলক ভ্রমণে। কেওনঝড়, বারবিলে গিয়েছিলেন তাঁরা। অধ্য়াপকরাও সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু কেওনঝড়ের জলপ্রপাতে গিয়েই বিপত্তি। জলপ্রপাত ছিল ব্যাকগ্রাউন্ডে। সেই অবস্থা সেলফি তুলছিলেন দুই ছাত্র। একজনের নাম নীলাব্জ ও অপরজন তারাশঙ্কর। দুজনেই পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাথায় আঘাত পেলেও পাথরের খাঁজে আটকে যান তিনি। কিন্তু তারাশঙ্কর সোজা জলে গিয়ে পড়়েন। এরপর সব শেষ। এদিন তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হল। 

এদিকে ওই ছাত্র ইউটিউবেও ছবি আপলোড করতেন। কিন্তু সেলফি তুলতে গিয়েই সব শেষ হয়ে গেল। এদিকে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে সেলফি তোলার পরিণতি যে কী ভয়াবহ হতে পারে ফের সেটা সামনে এল। তারাশঙ্করের মৃত্যুর জেরে কলেজের অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। তবে পরিবারের তরফে মিসিং ডায়রি করা হয়েছিল। আপাতত দেহ ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা পরিবার।