কার্তিক পূর্ণিমায় প্রায় ২০ লাখ পূণ্যার্থী স্নান করলেন হরিদ্বারের গঙ্গায়

উত্তরাখণ্ডে ১৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের আশেপাশে তাপমাত্রার মধ্যে পবিত্র কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রায় ২০ লক্ষ তীর্থযাত্রী হরিদ্বারের গঙ্গায় স্নান করলেন।

দিনটিতে যেহেতু গুরু নানক দেবের জন্মবার্ষিকী ছিল তাই ব্রহ্মকুন্ড হর-কি-পৌরি গর্ভগৃহ এবং সংলগ্ন ঘাটগুলিতে বহু পূণ্যার্থীকে স্নান করতে দেখা গিয়েছে। 

যাত্রী সমাগমে হরিদ্বার-নজিবাবাদ হাইওয়েতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্নে করতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় এদিন। 

পূণ্যার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে স্নান করতে পারেন তার জন্য তৎপর ছিল প্রশাসনও।  

হর-কি-পৌরিতে নজরদারিতে ছিলেন জেলা ধীরাজ সিং গাবরিয়াল। তিনি বলেন, ‘কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুপুর ২ টা নাগাদ ১০ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী হর-কি-পৌরিতে এসেছিলেন। সন্ধ্যায় ভক্তদের সংখ্যা আরও বাড়বে। তা সামলানোর জন্য তৎপর রয়েছে প্রশাসনও।’ 

গাড়ওয়াল-কুমায়ূন, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং বাংলা থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ কার্তিক পুর্ণিমায় স্নানের জন্য এসেছিলেন। হরিদ্বার জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সারাদিন ধরে নজরদারি চালিয়ে গিয়েছেন। 

হরিদ্বারের এসএসপি প্রমেন্দ্র ডোভাল বলেন, ‘বছরের শেষ প্রধান উৎসব এই স্নান উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সিভিল পুলিশ, সশস্ত্র কনস্টেবল, জল পুলিশ, মাউন্টেড ক্যাভেলারি, বোম স্কোয়াডের সঙ্গে স্নিফার স্কোয়াড, জিআরপি, ট্র্যাফিক এবং গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীদেরও মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে।’

প্রবীণ তীর্থপুরোহিত প্রদীপ ঝা বলেন, ‘কার্তিক পূর্ণিমা স্নানের তাৎপর্য রয়েছে। পবিত্র গঙ্গায় ডুব, আচার অনুষ্ঠান, মন্দিরে প্রণাম করা এবং দান করায় প্রভূত আধ্যাত্মিক এবং বস্তুগত লাভ হয়।’

অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদের সভাপতি মহানির্বাণী আখাড়ার মহন্ত রবীন্দ্র পুরী বলেন, ‘সোমবার কার্তিক পূর্ণিমার কারণে শিব লিঙ্গে অভিষেক করতে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত সমাগম হয়েছিল।

রবিবার সন্ধ্যায় দেব দীপাবলির উপলক্ষ্যে, ব্রহ্মকুন্ড হর-কি-পৌরি গঙ্গার ঘাট মাটির প্রদীপ দিয়ে সুন্দরভাবে আলোকিত করা হয়েছিল।