Uttarkashi Tunnel Rescue: শ্রমিকরা উত্তরকাশীর টানেলে ঠিক কীভাবে আটকে পড়েছিলেন? কোথাও কি ভুল হয়েছিল?

আশায় দিন গুনছে গোটা দেশ। অন্তত আরও ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগতে পারে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করতে। প্রতি শ্রমিককে উদ্ধার করতে ৩-৫ মিনিট সময় লাগতে পারে বলে খবর। দীর্ঘ ১৭দিন ধরে তাঁরা আটকে রয়েছেন সুরঙ্গের মধ্য়ে। এই উদ্ধারকাতে গত কয়েকদিন ধরে বার বার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তবুও হাল ছাড়েননি উদ্ধারকারীরা। টানেলের বাইরে প্রার্থনাও চলছে পুরোদমে। কিন্তু ওই শ্রমিকরা আটকে পড়েছিলেন কীভাবে? 

এই টানেলটি সিল্কিয়ারা টানেল বলে পরিচিত। মোট দৈর্ঘ্য ৪.৫ কিমি। এই টানেল পথেই চারধামের সঙ্গে যোগাযোগ। বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর সঙ্গেই এই টানেলপথেই যোগাযোগ। সিল্কিয়ারা ও দান্দলগাঁওয়ের মধ্য়ে এই যোগাযোগের রাস্তা। সিল্কিয়ারার দিক থেকে ২.৪ কিমি। আর অন্যদিক থেকে ১.৭৫ কিমি। এই টানেল তৈরি করা হচ্ছিল। হায়দরাবাদের একটা কোম্পানি এই টানেল তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। 

টানেলে ঠিক কী বিপর্যয় হয়েছিল? 

গত ১২ নভেম্বর সিল্কিয়ারার দিকে ২০৫-২৬০ মিটারের কাছাকাছি এলাকায় সুরঙ্গটি ধসে যায়। কিন্তু সবথেকে আশার কথা হল যেদিকটাতে শ্রমিকরা আটকে পড়েন সেদিকে জলের যোগান ও বিদ্যুৎ রয়েছে। কিন্তু কেন সুরঙ্গ ধসে গেল? মনে করা হচ্ছে হিমালয়ে কোনওভাবে ধস নামে। তার জেরেই এই কাণ্ড! আবার অনেকের মতে, তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে এলাকার ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। 

টানেল তৈরি করতে গিয়ে কি কিছু ভুল হয়েছিল? 

এনডিটিভির খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, সম্ভবত কোনও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। তখনই সুরঙ্গে ধস নামে। ভূতত্ত্ববিদ এসপি সতী আগেই জানিয়েছিলেন, এজেন্সি ব্যাপারটা মানতে চাইবে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত একটা বড় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। এদিকে এনডিটিভির আগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল টানেল থেকে বের হওয়ার জন্য একটা এমার্জেন্সি এক্সিট রাখার প্ল্যান ছিল। কিন্তু সেটা প্রয়োগ করা হয়নি। 

এদিকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্সকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে তিনি জানিয়েছিলেন, এই ধরনের আপৎকালীন বের হওয়ার পথ করা হয়। কিন্তু সেটা বহু ক্ষেত্রেই শেষে করা হয়। কারণ টানেলটা ভেঙে পড়বে সেটা তো প্রত্যাশা করা হয় না।  তবে সেটা সেখানকার ভূপ্রাকৃতিক জায়গা দেখে করা হয়।