প্রথম সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ২ উইকেট

প্রথম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৮৫.১ ওভারে ৩১০ (জয় ৮৬, শান্ত ৩৭, মুমিনুল ৩৭, সোহান ২৯)

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৪ ওভারে ৭৮/২ ( কেন উইলিয়ামসন ২৬*, হেনরি নিকোলস ১১*: ল্যাথাম ২১, কনওয়ে ১২) 

বাংলাদেশকে অলআউট করতে পারলেও শুরুতে শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিং বেঁধে রেখেছিল কিউই ওপেনারদের। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফল হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ ব্রেকে যাওয়ার আগে তুলে নিতে পেরেছে কিউইদের দুই ওপেনারকে। এই সেশনে দুই উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তুলতে পেরেছে ৭৮ রান। তারা পিছিয়ে আছে ২৩২ রানে। 

শুরুতে ধরে খেললেও টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে সেভাবে রান পাচ্ছিলেন না। ১৩ ওভারে তাইজুলের প্রথম ওভারে আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন ল্যাথাম। দুই ওভার পর সাফল্য পান টানা বল করতে থাকা মিরাজও। তার ঘূর্ণিতে ব্যাড-প্যাড ক্যাচ তুলে দেন আরেক ওপেনার কনওয়ে। এর পর অবশ্য ৩৪ রানের জুটি গড়ে প্রথম সেশন পার হতে অবদান রাখেন কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস। এই সেশনে আবার চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান জাকির হাসান। 

তাইজুলের পর উইকেট তুলে নিলেন মিরাজ

দারুণ শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তার পর দ্রুত দুই উইকেট তুলে কিউইদের চাপে ফেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে তাইজুল ইসলামের আঘাতে ফিরেছেন ল্যাথাম। দুই ওভার বিরতির পর আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শর্ট লেগে শাহাদাতের অসাধারণ ক্যাচে ফিরেছেন কনওয়ে। ফেরার আগে কিউই ওপেনার করেছেন ১২ রান। 

ওপেনিং জুটি ভাঙলেন তাইজুল

বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেওয়ার পর প্রথম ইনিংসে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ১২ ওভারে দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে মিলে ৩৬ রান যোগ করেছিলেন। ১৩তম ওভারে প্রথম বল করতে এসেই কিউইদের প্রতিরোধে আঘাত হেনেছেন তাইজুল।সুইপ করতে গিয়ে নাঈমের সহজ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন ল্যাথাম। ল্যাথাম ফিরেছেন ২১ রানে।   

বাংলাদেশের ব্যর্থ রিভিউ

বাংলাদেশ দিনের প্রথম বলে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর প্রথম ওভারেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছেন কিউই ওপেনার টম ল্যাথাম। শরিফুলের ওভারে মেরেছেন দুটি চার। কনওয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওভারে মিরাজের বলে লেগ বিফোরের আবেদনও ওঠে। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু ইমপ্যাক্ট স্টাম্পে না থাকায় নষ্ট হয়েছে রিভিউ।  

দিনের প্রথম বলেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস

প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে দুই সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু শেষ সেশনে একের পর এক উইকেট পতনে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়েছে। প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ৯ উইকেটে ৩১০ রান। ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেছিলেন শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিন তাদের ওপর স্কোর বাড়িয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু কিউই পেসার টিম সাউদির আঘাতে প্রথম বলেই পড়েছে বাংলাদেশের শেষ উইকেট। তাতে ৩১০ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

সিলেটে দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলে সাউদির মুখোমুখি হয়েছিলেন শরিফুল। কিন্তু কিউই পেসারের লেংথ বলটি খেলতে পরাস্ত হন তিনি। বল প্যাডে লাগলে আবেদন করেন কিউই অধিনায়ক। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন তারা। তার পরেই মেলে সাফল্য। লেগ বিফোরে আউট হন শরিফুল (১৩)।  

বাংলাদেশ তিনশ প্লাস রানের ভিত পেয়েছে মূলত ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের কল্যাণে। নাজমুল হোসেন শান্ত ও  মুমিনুল হক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন। বাকিরা অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। 

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। দুটি করে নিয়েছেন কাইল জেমিসন, এজাজ প্যাটেল। একটি করে নিয়েছেন টিম সাউদি ও ইশ সোধি।