Uttarkashi tunnel: আগেই ২১টি দুর্ঘটনা হয়েছিল উত্তরকাশীর ওই টানেলে, আবার কবে কাজ? জবাব দিল NHIDCL

উত্তরকাশীর টানেল থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এবার প্রশ্ন কাজ কবে শুরু হবে? National Highways and Infrastructure Development Corporation ltd ( NHIDCL) জানিয়েছে সিল্কিয়ারা- বারকোট টানেল যেখানে ৪১জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন সেখানে কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। সেই সঙ্গে তদন্ত ও সুরক্ষা সংক্রান্ত অডিটও হবে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে।

অংশু মণীশ খালকো, ডিরেক্টর ( প্রশাসন ও অর্থ) NHIDCL জানিয়েছেন, এক দুটো দুর্ঘটনার জেরে গোটা প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দিতে পারে না। সবকিছুই চলবে।অডিট, তদন্ত, প্রজেক্ট ওয়ার্ক সবটা চলবে। তবে কে ভুল করেছিল তা নিয়ে আমরা আগাম কিছু বলতে পারব না। কিন্তু এতে আমাদের প্রসেসটা বিঘ্ন হবে না। প্রথমে আমরা ৬০ মিটার ধ্বংসস্তুপ সরাব। পরে সেটা আবার তৈরি করা হবে। এটা শেষ করতে চার থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে।

তিনি জানিয়েছেন, এর আগে ২১টি ছোট দুর্ঘটনা এই টানেলেই হয়েছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনাটা সামনে এল কারণ এখানে শ্রমিকরা আটকে পড়েছিলেন। তবে এই ধরনের দুর্ঘটনা খুব স্বাভাবিক।

এদিকে টানেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আপৎকালীন রাস্তা না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একবার টানেলের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আপৎকালীন রুট তৈরি করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, ওপর দিয়ে যে গর্ত করা হয়েছে সেটা বন্ধ করা হবে।

এদিকে Rat Minersদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, মেশিনে করে পাইপটা ঠেলা হয়েছিল। কিন্তু ওরা ধ্বংসস্তুপগুলি সরিয়েছেন। তবে মেশিন যদি কাজ না করত তবে ওরা মাইনার্সরা কাজ করতেই পারতেন না। এমনকী ওয়েল্ডার্সরাই ধাতব অংশগুলি কেটেছিলেন। সেটাও মাইনার্সরা পরিষ্কার করতে পারেননি। এটা নিয়ে একটা পরিষ্কার ছবি আসা দরকার।

উত্তরাখন্ড ল্যান্ডস্লাইড মিটিগেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কমিটির ডিরেক্টর শান্তনু সরকার জানিয়েছেন, বিভিন্ন টেকনিকাল রিপোর্টগুলি খতিয়ে দেখা হবে। জিও টেকনিকাল রিপোর্টগুলি দেখা হবে।

এদিকে পরিবেশের দিক থেকে এই টানেল কতটা উপযোগী সেই প্রসঙ্গে NHIDCL আঞ্চলিক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দেরহাদুন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত সন্দীপ সুধেরা বলেন, ভাবুন তো অন্য জায়গায় রাস্তা করতে গেলে কত গাছ কাটা পড়ত। কত ঘুরে যেত গাড়়ি। তাতেও দুষণ হত।