স্বস্তি পেলেন ১১ জন বিজেপি বিধায়ক, জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন ১১ জন বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের বিরুদ্ধে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সোমবার লালবাজারের পক্ষ থেকে বিজেপি বিধায়কদের যে সমন পাঠানো হয়েছিল তার উপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বুধবার আবার এই মামলার শুনানি হবে বলে দিন ধার্য করা হয়েছে।

ওই দিন অর্থাৎ বুধবার দিন পুলিশকে কেস ডায়েরি নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। যদিও এফআইআর খারিজ হবে কিনা তা পরবর্তী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর। এদিকে বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন ‘‌চোর’‌ স্লোগান লেখা টি–শার্ট পরে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তাঁরা লাগাতার কুৎসিতভাবে স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‌আমি কারও কাছ থেকে বিনা পয়সায় চা খাইনি। আজ আমাকে চোর বদনাম দিচ্ছে। কিন্তু আমি মানুষের ভোর। যতদিন বাঁচব মানুষের জন্য কাজ করে যাব।’‌

এই সামগ্রিক ঘটনার পরে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অন্যদিকে গত বুধবার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা কর্মসূচি চলাকালীন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। তখন বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন নাগাড়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এতে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। লালবাজার থেকে বিজেপি বিধায়কদের ডেকে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:‌ এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হল মদন মিত্রকে, কেমন আছেন কামারহাটির বিধায়ক?‌

আজ, মঙ্গলবার তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তার আগে সোমবারই ওই এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় বিজেপি। এদিন ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ ছিল, জাতীয় সঙ্গীত আচমকা শুরু করা যায় না। সেক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানা দরকার। বিধানসভার সচিব সুকুমার রায় এই ঘটনা নিয়ে দু’‌পাতার চিঠি তুলে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তবে পুলিশ যে নোটিশ ইস্যু করেছিল সেখানে ফৌজদারি ধারা ৪১এ দেওয়া হয়েছিল। যার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।