জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হিসাবরক্ষককে তলব করল ইডি, বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ইডি হেফাজত থেকে জেলে যান বনমন্ত্রী। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এখন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। আর এই মামলায় তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। এই আবহে আজ, বুধবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হিসাবরক্ষক জয়শঙ্কর গুপ্তাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। সেখানে তাঁকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আর জবাবে যা বলেছেন সেই বয়ান রেকর্ড করে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আজ দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হিসাবরক্ষক। তবে এটাই প্রথম নয়। আগেও দু’বার সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন জয়শঙ্কর গুপ্তা। এই নিয়ে তৃতীয়বার বালুর হিসাবরক্ষক এলেন ইডি দফতরে। তবে এবার নতুন অনেক প্রশ্ন শুনতে হয়েছে তাঁকে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে যে তথ্য ইডির হাতে এসেছে সেটার উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করা হয় জ্যোতিপ্রিয়র হিসাবরক্ষককে। তাছাড়া কয়েকটি নথিও তাঁকে দেখানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিন আবার বেশ কিছু নতুন বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।

এদিকে ইডি সূত্রে খবর, ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে, স্ত্রী এবং প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের নানা সংস্থার হিসাব রাখতেন জয়শঙ্কর গুপ্তা। তাই তাঁকে তলব করে এই সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছেন অফিসাররা। আসলে রেশন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পত্তি বৃদ্ধির বিষয়টি কতখানি সম্পর্কিত সেটা যাচাই করেন তদন্তকারীরা। কারণ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে খুব বেশি কিছু মেলেনি। যা মিলেছে স্ত্রী, কন্যা, আপ্ত সহায়কের নামে। তাই যিনি হিসাব রাখতেন তিনি বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং বয়ান রেকর্ডও হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ আস্থা ভোট হচ্ছে না ঝালদা পুরসভায়, ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ

অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে, স্ত্রী এবং প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য জানতে চান ইডি অফিসাররা। বেশ কিছু নথি চেয়েও পাঠানো হয়েছিল জয়শঙ্কর গুপ্তার কাছে। আজ সেগুলি নিয়ে গিয়েছিলেন ওই হিসাবরক্ষক। সেগুলি ইডির কাছে জমা দিয়েছেন। তখন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। তবে যে উত্তর তিনি দিয়েছেন এবার তার সঙ্গে নথি মিলিয়ে দেখবেন অফিসাররা। তাই এখন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পর তিনি বেরিয়ে যান সিজিও কমপ্লেক্স থেকে। তবে পরে আবার ডাকা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। মামলার পরবর্তী শুনানিতে আদালতের কাছে নতুন কোন তথ্য পেশ করেন ইডির আইনজীবী সেটাই দেখার।