Manual Scavenging: গত পাঁচ বছরে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু ৪৪৩জনের, বাংলায় কতজন?

Social Justice and Empowerment বিষয়ক মন্ত্রক সাফাইকর্মীদের নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগের তথ্য় পেশ করেছে সংসদে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ এই সময়কালের মধ্য়ে সেপটিক ট্য়াঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে অন্তত ৪৪৫জনের মৃত্য়ু হয়েছে। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানাল মন্ত্রক। 

তৃণমূল এমপি অপরূপা পোদ্দারের প্রশ্নের উত্তরে ওই দফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। লিখিতভাবে তিনি এই তথ্য় দিয়েছেন। 

তিনি যে তথ্য় দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে সেপটিক ট্যাঙ্ক ও সিওয়ার্স পরিষ্কার করতে গিয়ে ৭৬জন মারা গিয়েছিলেন।  ২০১৯ সালে ১৩৩জন, ২০২০ সালে ৩৫জন, ২০২১ সালে ৬৬জন, ২০২২ সালে ৮৪জন, ২০২৩ সালে ৪৯জন মারা গিয়েছিলেন। 

এদিকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে  ২০২৩ সালে সবথেকে বেশি মৃত্যু এই ঘটনায় হয়েছে রাজস্থানে। সেখানে ১০ জনের মৃত্যু, এরপর গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতে, তারপরই পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে মারা গিয়েছিলেন ৩জন। 

মন্ত্রী জানিয়েছেন Prohibition of employment of manual scavengers and their rehabilitation act 2013 অনুসারে কোনও মানুষকে দিয়ে সরাসরি মল পরিষ্কারের জন্য় বলা যায় না। এটা বেআইনী। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৭৬৬জেলার মধ্য়ে ৭১৪ জেলা ঘোষণা করেছে তাদের জেলায় এই ধরনের কাজ হয় না। 

এদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পাশাপাশি আজও ভারতে অনেকেই ‘মেথর’ হিসাবে কাজ করছেন। কোনও যন্ত্রের সহায়তায় নয়, কোথাও হাত দিয়ে, কোথাও কোদাল, বেলচা দিয়ে তাঁরা পায়খানার সেফটি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করেন। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নেমে পড়েন দুর্গন্ধময় ড্রেনে। একজন মানুষকে কেন আজও এভাবে কাজ করতে হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।

এর আগে মন্ত্রক জানিয়েছিল, ন্যাশানাল সাফাই কর্মচারিজ ফিনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ১৯২.৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। গত বছরের খরচ না হওয়া টাকা সহ মোট ২১১.৮৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।