রসগোল্লায় নলেন গুড়ের স্বাদ নেই, বসিরহাটের মিষ্টির দোকানে চলল গুলি, জখম ১

নলেন গুড়ের রসগোল্লা খেয়ে সেই স্বাদ মেলেনি। আর এই অভিযোগ তুলে মিষ্টির দোকানে শুরু হয় তুমুল বচসা। এমনকী এই বচসা চলাকালীন চলল গুলি। আর তার জেরে মিষ্টি কিনতে এসে গুলিবিদ্ধ হন এক ক্রেতা বলে অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় বসিরহাট থানার কলেজ পাড়া এলাকায় নলেনগুড়ের রসগোল্লায় গুড়ের স্বাদ নেই বলে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে মিষ্টির দোকানে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বসিরহাটে।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বসিরহাট শহরেই টাকি রোডের উপর রয়েছে মায়া সুইটস বলে দোকানটি। এলাকায় এই মিষ্টির দোকানের যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। দিনভর ক্রেতার ভিড় দেখা যায় এই মিষ্টির দোকানে। সেখানেই গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। তাতে যে যুবকের গুলি লেগেছে তাঁর নাম নবীন কুমার দাস। গুলি লাগার পর প্রথমে ওই যুবককে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। নলেন গুড়ের রসগোল্লায় নলেন গুড়ের স্বাদ নেই এমন অভিযোগ দোকানিরা প্রথম শুনলেন। তাঁরা বোঝাবার চেষ্টা করতেই তেড়ে ওঠে ক্রেতা সেজে আসা দুষ্কৃতীরা।

অন্যদিকে তারপর ওই দোকানের ঢুকে পড়ে কয়েকজন যুবক। নলেনগুড়ের রসগোল্লা নেন তখন তারা। কিন্তু স্বাদ ভাল না অভিযোগ তুলে দোকান মালিকের উপর হম্বিতম্বি করতে শুরু করে তারা। সেখান থেকেই শুরু হয় বেধড়ক মারধর। তারপর তা থেকে বন্দুক বের করে পকেট থেকে। আর মিষ্টির দোকানে প্রায় ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। শীতের ছুটির আমেজে যখন নলেন গুড়ে মজেছে বাংলা তখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বসিরহাটের শহুরে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:‌ ট্রেনে বসেই আইবুড়ো ভাত খেলেন হবু বর, তারকেশ্বর লোকালে ১৯ রকম পদে ভোজ

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দোকানে ছিলেন নবীন দাস নামে এক ক্রেতা। তাঁর তলপেটে গুলি লাগে। বসিরহাট পুরসভার টাকি রোডে তাপস মণ্ডলের মিষ্টির দোকানে গুলি চলে। তাপসবাবু জানান, চারজন টেবিলে বসে রসগোল্লার অর্ডার দেয়। মিষ্টি দেওয়ার পর তাঁরা বলে ওঠেন রসগোল্লায় নলেন গুড়ের স্বাদ নেই। তোমরা লোক ঠকাচ্ছ। আর সেটার প্রতিবাদ করতেই দোকানের মালিককে মারধর ও আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালায়। ২ রাউন্ড গুলি চলেছে। আর গুলিবিদ্ধ নবীনকুমার দাস বলেন, ‘‌দুষ্কৃতীদের কাউকেই চিনি না। হঠাৎ পিস্তল বের করে গুলি চালাতে থাকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি গুলিবিদ্ধ হই।’‌