‘‌তোমাকে মালদার মাটিতে পাই বুঝিয়ে দেব’‌, শুভেন্দুকে শঠাং আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, গিরিরাজ সিংয়ের জামা খুলে নেবেন। এবার যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর কথায় বারবার বিতর্ক তৈরি হয়। সরাসরি সংঘাতে বিশ্বাস করেন তিনি। সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের বেঁধে রাখার নিদানও দিয়েছিলেন মালতিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। হ্যাঁ, তিনি মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি। আজ, বুধবার তাঁর নিশানায় পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে যিনি ছাড়েন না তাঁর কাছে বিরোধী দলনেতা তো নস্যি। তাই এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

আজ তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল নেতৃত্বদের নিয়ে রাজনৈতিক সম্মেলন হয়। সেখানের মঞ্চেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, ‘‌শুভেন্দু অধিকারী নিজের স্বার্থে পার্টিটাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। মালদা জেলার মানুষ প্রথমে সেটা বুঝতে পারেনি। তিনি ভেবেছিলেন চোরের রাজত্ব তৈরি করে দিয়ে মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সবাইকে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করবে। একজন অপদার্থ চোর নেতাকে মানুষ ভালবাসে না। তাই তাঁকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে মালদার মানুষ।’‌

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকেও দেখা যায় যখন তিনি সভায় বক্তব্য রাখেন, শুভেন্দু অধিকারীকে চোর, বাটপার, কুলাঙ্গার, বিশ্বাসঘাতক বলে থাকেন। এবার সেই ধারা বজায় রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আক্রমণ শানান। আবদুর রহিম আক্রমণ করে বলেন, ‘‌বাংলার বাঘিনীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে ভারতবর্ষ মমতাদির নেতৃত্বে লড়াই করবে। আজকে আমাদের নেত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়ে উন্নয়নের কথা বলছেন। আর অপরদিকে অপদার্থ, বেইমান, নেমকহারাম বিরোধী দলনেতা শিলিগুড়িতে গিয়ে আমাদের নেত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। বন্ধু তুমি জেনে রেখো যদি তোমাকে মালদার মাটিতে পাই, কে চোর তৃণমূল কংগ্রেস তোমাকে বুঝিয়ে দেবে। শঠাং শঠাং করে কী ভাবে আওয়াজ হয় তোমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌নিরাপত্তা আরও কড়া করতে হবে’‌, সংসদের ঘটনার পর বিধানসভা নিয়ে মন্তব্য বিমানের‌

অন্যদিকে এই মন্তব্যের মধ্য দিয়েই মালতিপুরের বিধায়ক মারের হুঁশিয়ারি দেন। যার জবাবে দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি কটাক্ষ, ‘‌আবদুর রহিম বক্সি কিছু কুকথা বলছেন। তিনি এইসব কথা বলে নিজের পদ বাঁচাতে চাইছেন। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলেন। তৃণমূল জেলা সভাপতি তিনি যে চোর সেটা মালদার মানুষ জানে। আরএসপির কোটা থেকে আইসিডিএসের চাকরি চুরি করা চোর আজকে বড় বড় কথা বলছেন।’‌