ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় বাড়ছে চিতা বাঘ, ৩ টি পাঠানো হল উত্তরবঙ্গের রসিকবিলে

ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাকৃতিক নিয়মে চিতা বাঘের প্রজননে সাফল্য মিলছে। যার ফলে সেখানে বেড়েছে চিতা বাঘের সংখ্যা। তবে চিতা বাঘগুলিকে রাতে সমস্যা হচ্ছিল। কারণ জায়গার অভাব। সেই কারণে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে তিনটি পুরুষ চিতাবাঘকে স্থানান্তরিত করা হল উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার রসিকবিলের মিনি জু’তে। বৃহস্পতিবার শাহজাদ, সোহেল এবং সুলতান নামে ওই তিনটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ চিতা বাঘকে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক থেকে রসিকবিলের চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারের ফের জনরোষের বলি চিতাবাঘ, মেরে উপড়ে ফেলা হল নখ, দাঁত

চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ওই তিনটি চিতা বাঘকে খাঁচায় ভরে কোচবিহারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে ঝাড়গ্রামে চিতা বাঘের সংখ্যা কমে হল ৪টি। জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে উত্তরবঙ্গ থেকে দুটি চিতা বাঘ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঝাড়গ্রামে। যার মধ্যে পুরুষ চিতার নাম হল সোহেল এবং স্ত্রী চিতার নাম হল হর্ষিণী। তাদের প্রজননের পরে ঝাড়গ্রামে চিড়িয়াখানায় চিতা বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭টি। তবে এতগুলি চিতা বাঘ রাখার জায়গা ছিল না ঝাড়গ্রামে। সেই কারণে তাদের উত্তরবঙ্গে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, হর্ষিণী তার প্রথম সন্তানকে খেয়ে ফেলেছিল। এরপর ২০২০ সালে হর্ষিণী এবং সোহেলের প্রজননের ফলে সুলতান এবং শাহজাদের জন্ম হয়। ওই দুটি চিতা বাঘ এখন পূর্ণবয়স্ক।

মার্চ মাসে হর্ষিণী আরও ৩ স্ত্রী এবং একটি পুরুষ শাবকের জন্ম দেয়। তাদের সেপ্টেম্বর মাসে মায়ের সঙ্গে এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে ঝাড়গ্রামে চিতা বাঘার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭টি। কিন্তু এতগুলি চিতা রাখা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর জু অথরিটি চিতা বাঘগুলিকে উত্তরবঙ্গে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

চিড়িয়াখানার তরফে জানানো হয়েছে, ঝাড়গ্রামে চিতাবাঘের স্বাভাবিক প্রজননে সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দিনে সেখানে আরও চিতা বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে। এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনটি চিতা বাঘকে আলাদা আলাদা পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে কোচবিহারের চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিতা বাঘকে রাখতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।