Ayodhya Ram Temple: শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি তৈরিতে বাংলার দুই মুসলিম শিল্পী, থাকবে অযোধ্য়ার রামমন্দিরে

অযোধ্য়ায় একেবারে হইহই কাণ্ড। জানুয়ারিতেই উদ্বোধন করা হবে রামমন্দিরের। সেই মতো কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তৈরি হচ্ছে রামমন্দিরের শেষ মুহূর্তের কাজ। আর সেই অযোধ্য়ায় শ্রী রামচন্দ্রের মূর্তি তৈরিতে এবার সামনে এল বাংলা যোগ।

ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দুই মুসলিম ভাস্কর রামমন্দিরের শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি তৈরিতে নিয়োজিত রয়েছেন।

এক শিল্পীর নাম মহম্মদ জামালউদ্দিন আর তাঁর পুত্র বিট্টু। মন্দির চত্বরে থাকবে তাঁদের তৈরি মূর্তি। আসলে অনলাইনে তাঁদের হাতের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এরপরই অনলাইনে অর্ডার দেওয়া হয়।

এরপরই কাজে নেমে পড়েন বাবা ও ছেলে। এই মূর্তিটি থাকবে মন্দির চত্বরে। যে কোনও আবহাওয়াতেই অটুট থাকবে এই মূর্তি। ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি। সব মিলিয়ে এই মূর্তির জন্য় খরচ পড়বে প্রায় ২.৮ লাখ টাকা। তবে মাটির তৈরি মূর্তির তুলনায় এই ধরনের মূর্তি অনেকটাই মজবুত হয়।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই শিল্পী জানিয়েছেন, ধর্মের ব্যাপারটা পুরো ব্যক্তিগত। দেশে নানা ধর্মের মানুষ বাস করেন। আমাদের বার্তাটা খুব সাধারণ। ধর্মীয় হানাহানির সময় আমাদের এক হতে থাকতে হবে। ভগবান রামচন্দ্রের মূর্তি তৈরি করতে পেরে আমি খুশি। একজন শিল্পী হিসাবে আমি ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিতে চাই।

তিনি জানিয়েছেন, শুধু রামচন্দ্র নয়, এর আগে আমি মা দুর্গা ও জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের বিরাট মূর্তি বানিয়েছি। এনিয়ে তিনি রীতিমতো গর্বিত। তাঁর মতে এই ধরনের মূর্তি তৈরি করতে পেরে আমি সংস্কৃতির মেলবন্ধনের বার্তা দিতে চাই।

বিট্টু এই কর্মশালা চালান। তাঁর মতে একটি বড় মূর্তি তৈরি করতে গেলে ৩০-৩৫ জন লাগে। দেড় মাস সময় লেগে যায়। আর উত্তরপ্রদেশে এই মূর্তি পৌঁছে দেওয়া নিয়ে সব মিলিয়ে ৪৫দিন সময় লাগবে।

সম্প্রীতির এক অপূর্ব নিদর্শন এবার অযোধ্য়ার রামমন্দিরে। বাংলার শিল্পীর তৈরি রামচন্দ্রের মূর্তি শোভা পাবে মন্দির চত্বরে। ধর্মীয় বিভেদকে ভুলে মুসলিম শিল্পী রূপ দিচ্ছেন রামচন্দ্রের মূর্তিতে।