‘‌আমি ভাগ্যবান, এখন সাংসদ নই’‌, একাধিক সাংসদদের সাসপেন্ডে কড়া মন্তব্য মমতার

স্মোক ক্যান কাণ্ড নিয়ে এখন সংসদ উত্তাল। আর তা সামাল দিতে পারছে না কেন্দ্রের মোদী সরকার। বিরোধী সাংসদরা কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরছে। এই আবহে আজ, সোমবার দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। সংসদে স্মোক ক্যান হামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে লোকসভায় হট্টগোল শুরু হয় বিরোধীদের। আর তাই আজই ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভায় আগেই ডেরেক ও’‌ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আবার সরাসরি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। এবারের সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের ৯জন–সহ বিরোধী সাংসদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক আগামীকাল, মঙ্গলবার। তার আগেই নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আজ দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। আবার বুধবার তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও বৈঠক রয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ বৈঠকে আঁচ ফেলবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।

এদিকে এদিন স্মোক কাণ্ড নিয়ে লোকসভায় হট্টগোলের অভিযোগে একের পর এক বিরোধী দলের সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের সাংসদ গৌরব গগৈকে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন—কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, শতাব্দী রায়, অসিত মাল, প্রতিমা মণ্ডল এবং সুনীল মণ্ডল। একইসঙ্গে কমপক্ষে ৩৩ জন সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন:‌ বেআইনি আবর্জনার গাড়ি নিজেই ধরলেন মেয়র, টানটান উত্তেজনা মাঝেরহাটে

অন্যদিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ডিএমকে সাংসদ এ রাজা, দয়ানিধি মারান, টি আর বালুকে। অধীর–সহ মোট ৩৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ এই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যা ঘটছে, তা হওয়া উচিত নয়। আমি ভাগ্যবান যে, আমি সাংসদ নই এখন। এটা তো দেখছি পুরো পার্লামেন্ট সাসপেন্ড হওয়ার মতো অবস্থা। রীতিমতো স্বৈরতন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা চলছে তা কাঙ্খিত নয়।’ শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৬৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন।