Giriraj on Halal: ‘হালাল নয়, হিন্দুদের উচিত ঝটকা মাংস খাওয়া’, নিদান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজের

এবার হালাল মাংস নিয়ে এক মন্তব্যের জেরে ফের খবরের শিরোনামে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,’হালাল’ মাংস না খেয়ে হিন্দুদের উচিত ‘ঝটকা’ মাংস খাওয়া। বিজেপির বেগুসরাই কেন্দ্রের সাংসদ গিরিরাজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, নিজের ধর্মকে নষ্ট না করতে চাইলে হিন্দুদের উচিত হালাল মাংস না খেয়ে ঝটকা মাংস খাওয়া।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন,’আমি শ্রদ্ধা করি সেই সমস্ত মুসলিমদের যাঁরা ঠিক করে নিয়েছেন যে তাঁরা হালাল মাংসই খাবেন। এবার হিন্দুদের উচিত এইভাবে ধর্মীয় রীতি ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া।’ গিরিরাজ সিং বলছেন,’জবাই করার জন্য হিন্দু পদ্ধতি হল ঝাটকা। হিন্দুরা যখনই ‘বালি’ (প্রাণী বলি) করেন, তখনই তাঁরা সেটা এক ঝটকায় করেন। যেমন, তাঁদের উচিত নয় হালাল মাংস খেয়ে নিজেদের কলুষিত করা। তাঁদের সবসময় ঝাটকা খাওয়াই উচিত।’ এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, এবার থেকে যাতে ঝটকা মাংসই বিক্রি হয়, এমন ধরনের দোকান নিয়ে একটি নয়া ব্যবসায়ী মডেল আনতে হবে। এর আগে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি লেখেন, যে সমস্ত খাদ্য পণ্যে ‘হালাল’ সার্টিফায়েড ট্যাগ রয়েছে, সেগুলিকে যেন বিহারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে এই পথে হেঁটেছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এছাড়াও সাংবাদিকদের আরও একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন গিরিরাজ সিং। তাঁকে সদ্য সংসদে হানা নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়। বিজেপি সাংসদ যদিও রাহুলের তোলা বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেন। গিরিরাজ বলেন, ‘ আরও একবার রাহুল গান্ধী সমবেদনা জানিয়েছিলেন, জেএনইউ ক্যাম্পাসে দেশ বিরোধী স্লোগান তোলা মানুষের প্রতি।’

( Meloni on Islam: ইউরোপীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ইসলাম খাপ খায় না, অকপট ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি)

এর আগে উত্তর প্রদেশের সরকার হালাল সার্টিফায়েড পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে উত্তর প্রদেশ সরকার। উল্লেখ্য়, ‘হালাল’ শব্দটি আদলতে আরবি। এর অর্থ হল – ‘গ্রহণযোগ্য’। প্রকৃতপক্ষে ‘হারাম’ শব্দের বিপরীত হল ‘হালাল’। আদতে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত পণ্য হল সেই জিনিসগুলি, যা কি না ইসলামিক আইন মেনে তৈরি করা হয়েছে এবং ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করেই সে সব পণ্য মুসলিমরা ব্যবহার করতে পারেন।