Tarapith temple: তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহে ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা, থাকছে আরও বিধিনিষেধ

কেদারনাথ মন্দিরের পর এবার তারাপীঠ মন্দিরে ছবি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। এই মন্দিরের গর্ভগৃহে বা মায়ের সঙ্গে ছবি তোলার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার থেকে এই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, স্মার্টফোন নিয়ে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। একই সঙ্গে ভিড় সামাল দিতেও একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এতদিন অনেককেই মন্দিরের ভিতরের ভিডিয়ো, ছবি তুলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, তাতে কিছু আপত্তি সামনে এসেছে। সেই কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ‘‌মা সেই প্রার্থনা মেনে নিয়েছেন’‌, তারাপীঠে পুজো দিয়ে মনস্কামনা জানালেন মন্ত্রী

তারাপীঠের তারামাতা সেবাইত সংঘ এবং মন্দির কমিটির তরফ থেকে কয়েকদিন আগেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে এই সমস্ত বিষয় ছাড়াও বলা হয়েছে শুধুমাত্র ভক্ত নয়, কোনও পূজারিও মন্দিরের ভিতরে ছবি তুলতে পারবেন না। এছাড়াও গর্ভগৃহের ভিতর অঞ্জলি দেওয়া যাবে না। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দিন দিন তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে সেলফি তোলার বিষয়টি বাড়ছে। তাই ভক্তদের পুজো দিতে যাতে বেশি সময় না লাগে তার জন্য এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

মন্দিরের তরফে জানানো হয়েছে, মায়ের দর্শনের পরে সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে, যাতে অন্যান্য ভক্তরা পুজো দিতে পারেন। তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। তারাপীঠ সেবাইত কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুবিধার কথা মাথায় রেখে এমন নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি দর্শনার্থীদের কাছ থেকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে কৌশিকী আমাবস্যার পড়েও বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই সময় মন্দিরে সংস্কারের কাজ চলার কারণে আলতা বা সিঁদুর নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অত্যন্ত জাগ্রত মন্দির হিসেবে পরিচিত তারাপীঠ। সারা বছর ধরেই এখানে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। কথিত আছে, পাল রাজত্বের সময় রাজা জয় দত্ত সওদাগর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শ্মশান থেকে মায়ের মূর্তি এনে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষের বিশ্বাস, এখানে সাধনা করলে কেউ খালি হাতে ফেরেন না। শুক্ল চতুর্থীতে এখানে মায়ের দর্শনে আসেন দূর-দূরান্তের মানুষ।