Fire in Howrah: হাওড়ার পেপার মিলে ভয়াবহ আগুন, কারখানা থেকে বেরিয়ে প্রাণ বাঁচল কর্মীদের

ভয়াবহ আগুন লাগল হাওড়ার একটি পেপার মিল কারখানায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনও পর্যন্ত অথবা তার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা কারখানা কর্তৃপক্ষের। হাওড়ার রানিহাটি এলাকায় আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন:বিধ্বংসী আগুনে গঙ্গাসাগরে পুড়ে ছাই একাধিক বাড়ি, কপিলমুনি আশ্রম চত্বরে আতঙ্ক

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার সময় কারখানার ভিতরে কর্মীরা ছিলেন। আগুনের বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এই ঘটনায় কর্মীদের কেউ হতাহত হননি বলে জানা গিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই নিরাপদে রয়েছেন। তবে কারখানায় কাগজের মতো প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত কারখানার ভিতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় কারখানার কর্মীরা দমকলে ফোন করে আগুন লাগার খবর জানান। খবর পেয়ে ছুটে আসে এক একটি করে দমকলের ৫ টি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী কারণে বা কীভাবে আগুন লেগেছে? তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। দমকল আধিকারিকদের বক্তব্য, পেপার মিলে থাকা কাগজ থাকার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে আগুন বিশাল আকার নেয়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন দমকল কর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত মাসে হাওড়ার ফোরশোর রোডের জুটমিল এবং ঘুসুড়িতে একটি প্লাস্টিকের গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। তারপর ফের আজ রানিহাটির এই পেপার মিলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। এবিষয়ে হাওড়ার ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার রঞ্জন কুমার ঘোষ জানান, ‘খবর পাওয়ার পরেই দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। আমরা ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আগুন লাগার খবর পেয়েছি। আগুন নেভানোর জন্য ৫টি দমকল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়।ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ কোনও হতাহত হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত? তা এখনও জানা যায়নি।