স্যামসনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিতে ভারতের সিরিজ জয়

২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সঞ্জু স্যামসনের। ওয়ানডেতে অভিষেক হয় আরও পরে, ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তবে দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৯টি ম্যাচ খেলে চারটি হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও ছিল না সেঞ্চুরি। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিতে দলকে জেতালেন তিনি। আর এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ জিতলো সফরকারী ভারত।

১-১ সমতায় নিয়ে বৃহস্পতিবার পার্লের বোল্যান্ড পার্কে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে স্যামসনের অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভারত ২৯৭ রানের লক্ষ্য দেয় প্রোটিয়াদের। জবাবে খেলতে নেমে ২৫ বল আগেই ২১৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। আর তাতেই ৭৮ রানের বড় জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ জিতে নেয় সফরকারী ভারত।

আগে ব্যাটিং করতে নেমে অষ্টম ওভারেই ২ ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে সফরকারী ভারত। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন স্যামসন। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ২১ রান করে আউট হওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে তিলক ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে ১১৬ রানের জুটি গড়েন স্যামসন। তিলক ৭৭ বলে ৫২ রান করে আউট হন। এরপর রিঙ্কু সিংহের সাথে ২৫ বলে গড়েন ২৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি পাওয়া স্যামসন।  ১১৪ বল খেলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় তিনি তার ১০৮ রানের ইনিংসটি সাজান।  তার সেঞ্চুরিতে ভর করে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ভারত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রানের লড়াকু পুঁজি দাড় করে।  

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে বিউরান হেনড্রিকস তিনটি এবং নান্দ্রে বার্গার নেন দুটি উইকেট।

২৯৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে রেজা হেনড্রিক্স ও টনি ডি জর্জি ভারতের বোলারদের উপর চড়াও হন। ৮.২ ওভারে ৫৯ রান তোলার পর জুটি ভাঙ্গে তাদের। হেনডিক্স ২৪ বলে ১৯ রান করে আউট হন। প্রোটিয়াদের এই ওপেনার আউট হওয়ার পর জর্জি তার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন। মাত্র ২ রান করে আউট হন রাসি ভ্যান ডুসেন। তৃতীয় উইকেটে এইডেন মার্করামের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি বাঁধেন জর্জি। মার্কারাম ৪১ বলে ৩৬ রান করে আউট হওয়ার পরই মোড়ক লাগে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপে। কিছুক্ষণ পর জর্জি আউট হলে খুব বেশিদূর এগুতে পারেনি স্বাগতিকদের সংগ্রহ। ইনিংসের ২৫ বল আগে সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৮ রানের। জর্জির ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস। ৮৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি তার ইনিংসটি সাজান। 

ভারতের বোলারদের মধ্যে অর্শদীপ সিং ৩০ রান খরচায় সর্বোচ্চ চারটি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া ওয়াশিংটন সুন্দর এবং আবেশ খান প্রত্যেকে নেন দুটি উইকেট।/আরআই/এফআর/