Agnimitra Paul: ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে’ মালদহে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রার

লোকসভা ভোটের উত্তাপ যত বাড়ছে ততই রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মুখে কটু কথা বেশি করে শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপিকে নানাভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালদহের তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীকে জেলায় সভা করতে হবে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে পালটা আব্দুর রহিম বক্সিকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে।’

বুধবার মালদহ জেলার রথবাড়িতে তৃণমূলের কার্যালয় থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে একটি প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। এদিন প্রতিবাদ সভা থেকে রহিম বক্সিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেছেন, ‘উনি বিজেপিকে নানাভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে থাকেন। বিজেপিকে মিছিল মিটিং করতে দেবেন না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি এখন প্রতিবাদ সভা করছে। কোথাও আব্দুর রহিম দেখা যাচ্ছে না।’ তখন তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘বিজেপিকে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে।’

উল্লেখ্য, আগামী জানুয়ারিতে মালদহে সভা করার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তবে শুভেন্দুকে সভা করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। এই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা জোর গলায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারী মালদহ জেলাতেই সভা করবেন। রহিম বক্সিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রহিম বক্সি চুপ করে ভালো মানুষ সেজে বিধানসভায় বসে থাকেন। মানুষের জন্য কিছুই বলেন না। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মালদহে প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। এরপর রথবাড়িতে সভা করে। অগ্নিমিত্রা ছাড়াও এদিনের মিছিল ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খান। যদিও অগ্নিমিত্রার বক্তব্যের পালটা রহিম বক্সি জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে বিজেপিকে জবাব দেবে সাধারণ মানুষ।

এছাড়াও, এদিন পুরাতন মালদহ এবং ইংরেজবাজার প দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন অগ্নিমিত্রা। তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, কেউ ছাড় পাবে না। এছাড়াও মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার থাকে না বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই দুটি পুরসভায় সাধারণ মানুষই ভোটে তৃণমূলকে জয়ী করেছে। সুতরাং বিজেপির কথায় কোনও কাজ হবে না। অন্যদিকে, মালদা মেডিক্যাল কলেজ সংক্রান্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেখানকার অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।