China Egg Fried Rice video: এগ ফ্রায়েড রাইসের ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন! তাতেও কেন ক্ষমা চাইতে হল চিনা ব্লগারকে

একটি রেসিপি ভিডিয়োর জন্য় চরম সংকটে চিনের ব্লগার। সম্প্রতি ব্লগে এগ ফ্রায়েড রাইস তৈরির রেসিপি পোস্ট করেছিলেন ওয়াং গ্যাং। এগ ফ্রায়েড রাইস চিনের একটি জনপ্রিয় রান্না। অনেকের পছন্দতেই এই খাবার তালিকার প্রথমে থাকে। এই কারণেই ব্লগার ওয়াং গ্যাং এই খাবার নিয়ে একাধিক রেসিপি ভিডিয়ো তৈরি করেছিলেন।

তাঁর রেসিপি যথেষ্ট জনপ্রিয় নেটদুনিয়ায়।‌ তবে এর জন্যই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। তাঁর বানানো এগ ফ্রায়েড রাইসের ভিডিয়োই রীতিমতো ক্ষমা চাওয়াল তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে রীতিমতো নিন্দার খোরাক হতে হয় তাঁকে । কিন্তু ঠিক কী কারণে? কী ছিল তার অপরাধ?

(আরও পড়ুন: Viral brain teaser: ধাঁধাকে পারবেন কুপোকাত করতে? রইল দিনের সেরা ৫ ধাঁধার হদিশ)

কোন দোষে তাঁকে দোষী করা হচ্ছে?

মাও সেতুং-এর পুত্র মাও আনইং-এর মৃত্যুবার্ষিকীর দুই দিন পর ২৭ নভেম্বর তিনি এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছিলেন। কথিত আছে, মাও আনয়িং কোরিয়ান যুদ্ধে নিহত হওয়ার আগে এগ ফ্রায়েড রাইস রান্না করছিলেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, চিনের উদারপন্থী জনতা ২৫ নভেম্বরকে চিনের থ্যাঙ্কসগিভিং দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। তাঁদের বিশ্বাস, মাওয়ের পুত্র বেঁচে থাকলে চিন উত্তর কোরিয়ার মতো শাসিত হত। সেই আবহে এই ভিডিয়ো পোস্ট অনেকেই ভালোভাবে নেননি। এটিকে মাও ও মাও-পুত্র দুজনের জন্য অপমান বলে মনে করছে মিডিয়া ।

কী বলছে মিডিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে, ওয়াংকে ‘একজন বিশ্বাসঘাতক’, ‘অস্বাভাবিক মানুষ’ এবং ‘সমাজের শত্রু’ বলে আক্রমণ করা হয়েছে‌। কিছু ব্লগার উল্লেখ করেছেন যে ওয়াং এর আগেও  এগ ফ্রায়েড রাইসের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। তারা জানিয়েছেন, ওয়াং ২৪ অক্টোবর মাও অ্যানিং-এর জন্মদিনের কাছাকাছি সময়েও রেসিপি পোস্ট করেছিলেন।

(আরও পড়ুন: Amazon Prime Lite এবার ৭৯৯ টাকায়! কী কী সুবিধা থাকছে বড়দিনের মরসুমে)

ক্ষমা চাইলেন ওয়াং

কমিউনিস্ট পার্টির ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসের প্রাক্তন সম্পাদক হু জিজিং সবাইকে এই বিষয়টি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। বলা হয়েছে, অক্টোবর এবং নভেম্বরে এগ ফ্রায়েড রাইসের ঘটনা নিয়ে কোনওরকম উল্লেখ করা নিষিদ্ধ। ওয়াং ভিডিয়ো রেসিপি মুছে ফেলেন ও ক্ষমা চান। তিনি এক ভিডিয়োতে বলেন, একজন শেফ হিসাবে, ‘আমি আর কখনও এগ ফ্রায়েড রাইস বানাবো না। বা এই জাতীয় ভিডিয়ো শুট করব না।’ পরে সেই ভিডিয়োটিও তাঁকে মুছে দিতে হয়েছিল। কারণ তাতে নাকি অনিচ্ছুক এবং ব্যঙ্গাত্মক সুর ফুটে উঠেছিল।