Anupam Hazra FB post after sacking: ‘বার্তা পেলাম, কিছু শর্ত মেনে চললে…’, পদ হারিয়ে আবারও বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

বিগত দিনে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বারবার তোপ দেগে এসেছেন তিনি। এই আবহে তাঁর তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। তিনি অনুপম হাজরা। বহু বিতর্কের পর অবশেষে দলের জাতীয় সম্পাদকের পদ খুঁইয়েছেন তিনি। আর তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিস্ফোরক ইঙ্গিত দেন তিনি। ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে অনুপম লেখেন, ‘পদ থেকে সরানোর ঠিক তিন ঘণ্টার মধ্যেই বার্তা – কিছু শর্ত মেনে চললে আবার সব আগের মতো।’ অনুপম যেন বোঝাতে চান, শর্ত মেনে চললে তাঁকে নাকি আবার পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: বিজেপির ‘১৫ জনের নির্বাচন কমিটি’ ঘিরে ধোঁয়াশা, শাহ শহর ছাড়তেই বড় দাবি সুকান্তর)

আরও পড়ুন: ‘CAA হবেই, ঠেকাতে পারবে না কেউ’, বাংলায় দাঁড়িয়ে মমতাকেই যেন বার্তা দিলেন শাহ

উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক পদে ছিলেন অনুপম। তবে সাম্প্রতিককালে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। এই আবহে গতকাল নড্ডার নির্দেশে দলীয় পদ হারান অনুপম। জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে অনুপমের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গিয়েছিল নড্ডার কাছে। এই অবস্থায় অভিযোগ খতিয়ে দেখে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নড্ডা। এরই মাঝে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, অনুপমের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে সাম্প্রতিককালে।

আরও পড়ুন: শুধু নন-এসি নয়, আসবে এসি অমৃত ভারতও, ‘বন্দে সাধারণ’ নিয়ে এল বড় আপডেট

এর আগে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অনুপমের বিস্ফোরক সব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জল্পনা ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। শৃঙ্খলাবদ্ধ দল হিসেবেই পরিচিত বিজেপি। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ‘বিদ্রোহী’ হওয়ার রীতি দেখা গিয়েছে বিগত কয়েক বছরে। এরই মাঝে ‘চোরমুক্ত বিজেপি’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন অনুপম। সম্প্রতি পৌষমেলাতে কোণঠাসা বিজেপি কর্মীদের নিয়ে স্টলও বানিয়েছিলেন অনুপম। তবে প্রশ্ন ছিল, দলের জাতীয় সম্পাদক হয়ে কীভাবে তিনি একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করতে পারেন, ফেসবুকে নানা বিতর্কিত পোস্ট করেন?

আরও পড়ুন: এবার ‘স্থায়ী সরকারি কর্মীর মর্যাদা’ পাবেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরাও, মিলবে কত বেতন

কয়েকদিন আগেই কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’-এর অনুষ্ঠান। তা নিয়ে অনুপম অভিযোগ করেছিলেন, টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানের পাস বিলি হচ্ছে। ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘চোরমুক্ত বিজেপি চাই।’ পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘এটা যদি সত্যি হয় তাহলে তো সাংঘাতিক ব্যাপার!!! শেষ পর্যন্ত লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ থেকেও দুর্নীতি, টাকা উপার্জন! হায়রে, এরা আদৌ হিন্দু? অবশ্য় সংগঠনের কাছের লোক হলে শত চুরি এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোনও পরিবর্তন হবে না। উলটে মেয়াদকাল আরও বাড়তে পারে। আর কতদিন যে চোরমুক্ত বিজেপি চাই বলে গলা ফাটাতে হবে কে জানে??’ এর আগেও তিনি একের পর এক বিস্ফোরক পোস্ট করে বিজেপির অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আর তাই অবশেষে পদ গেল অনুপমের। তবে তারপরও বিস্ফোরক দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করলেন তিনি।