এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রাক্তন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট ভদ্র লন্ডনে একটি বাড়ি সংস্কার করেছেন। সেটা আবার অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে তিনি যে এই বাড়িটা সারিয়েছেন সেটাই নয়, ওই বাড়িতে তিনি থাকাও শুরু করেছেন বলে খবর।
সেই সঙ্গেই এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রবার্ট ভদ্রর এক সঙ্গী সিসি থাম্পি। তিনি আসলে দুবাইয়ের ব্যবসায়ী। গত ২০২০ সালে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তার সঙ্গে মিলে রবার্ট ভদ্র ফরিদাবাদে বিরাট জমি কিনেছিলেন বলে খবর। তাদের মধ্য়ে অর্থনৈতিক লেনদেনও হয়েছে বলে খবর।
এজেন্সির তরফে বলা হয়েছে, থাম্পির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সুমিত চন্দ নামে অপর এক ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। দিল্লি কোর্ট চড্ডার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে খবর।
তবে ওই চার্জশিটে কোথাও রবার্ট ভদ্রকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে ২০২০ সাল থেকে ইডির তরফে দাবি করা হচ্ছে লন্ডনের ব্রিসটন স্কোয়ারে যে বাড়ি রয়েছে সেটার দাম ১.৯ মিলিয়ন। সেটার মালিক হলের রবার্ট ভদ্র। কিন্তু থাম্পি এটা কিনতে তাকে সহায়তা করেছিলেন।
রবার্ট ভদ্র সম্পর্কে এজেন্সি দাবি করেছে, তদন্তে বোঝা গিয়েছে যে থাম্পি রবার্ট ভদ্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। রবার্ট ভদ্র শুধু যে লন্ডনের ওই সম্পত্তিটা সুমিত চড্ডার সহায়তায় সংস্কার করেছেন সেটাই নয়, সেখানেই তিনি থাকেন। এছাড়াও রবার্ট ভদ্র ও থাম্পি ফরিদাবাদে বিরাট জমি কিনেছিলেন। তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও হয়েছে বিরাটভাবে।
ইডি আদালতে জানিয়েছে, লন্ডনের ওই সম্পত্তিটা স্কাইলাইট ইনভেস্টমেন্ট এফজেডইর কাছে ট্রান্সফার করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত কোনও দাম নেওয়া হয়নি।
হিন্দুস্তান টাইমস রবার্ট ভদ্রর প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সঞ্জয় ভান্ডারির সম্পর্কে ইডির দাবি, তিনি নেপাল হয়ে তিনি ইংল্যান্ডে পালিয়ে যান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি চলে গিয়েছিলেন। অফিসিয়াল সিক্রেট অ্য়াক্টে এনডিএ সরকার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। একাধিক এজেন্সি সঞ্জয় ভান্ডারির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।