Monoranjan Byapari: আমার ওপরে যদি গুলি চলে? নিজের দলের নেত্রীর হাতে প্রাণনাশের আশঙ্কা মনোরঞ্জনের

নিজের বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় নিজের দলের নেত্রীর হাতে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূল বিধায়ক। হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারির দাবি, তাঁকে খুনের চক্রান্ত করছেন যুব তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুন। এমনকী সেজন্য পরিকল্পনামাফিক তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মনোরঞ্জনবাবুর। ৭ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভ করে গোটা দুর্নীতি প্রকাশ্যে অনবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

এদিন মনোরঞ্জনবাবু বলেন, ‘তৃণমূলের যুবনেত্রী রুনা খাতুন, যিনি জেলা যুব তৃণমূলের সভানেত্রী ছিলেন, ক্ষমতাবলে এত দুর্নীতি করেছে যে সমস্ত বিধায়ক তাঁর প্রতি তিতিবিরক্ত। রুনার স্বামী অরিজিৎ দাস মাটি মাফিয়া, বালি মাফিয়া, গাঁজা পাচারকারী, জুয়ার বোর্ড থেকে কাটমানি খায়। মাটি – বালির থেকে রুনাও কাটমানি খায়’।

তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মনোরঞ্জনবাবু বলেন, ‘আমি বাঁশবেড়িয়ায় বাড়ি ভাড়া করে থাকি। আমার পরিবার থাকে কলকাতায়। আমার ২ জন নিরাপত্তারক্ষী ছিল। তাদের মধ্যে ১ জন চলে গিয়েছে ছুটিতে। আরেকজনকে তুলে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আমি জানি না কেন আমাকে ফাঁকা আর একা করে দেওয়া হল? কী ওদের উদ্দেশ ছিল? আমার তো মনে হয় বড় একটা চক্রান্ত ছিল’।

নিজের দলের শাসনে নিজেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে দাবি করে বিধায়ক বলেন, ‘বলাগড়ের জনগণ আমাকে জিজ্ঞাসা করছে তুমি বলাগড়ে আসছ না কেন? তাদের আমি বলছি, আমার তো নিরাপত্তা নেই। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমার ওপরে যদি গুলি চলে, কে বাঁচাবে? যতক্ষণ সেই নিশ্চয়তা না দেওয়া হচ্ছে আমার গার্ড ফিরিয়ে না দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ বলাগড়ে যাব না’।

জবাবে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুন বলেন, ‘মনোরঞ্জন বাবু একজন সাহিত্যিক। উনি যেন কাগজ হাতে নিয়ে অভিযোগ করেন। নইলে আমিও মুখ খুলতে বাধ্য হব। উনি বলাগড়ের মানুষের কোন কল্যাণে মাঝগঙ্গায় ফায়ার করেছেন’?

বলে রাখি, বলাগড়ের নেতাদের সঙ্গে মনোরঞ্জনবাবুর বিবাদ নতুন নয়। এর আগেও বারবার প্রকাশ্যে মুখ খুলে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।