পুলিশ TMC–র চাপে সহজে মামলা রুজু করতে পারে না, দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধানের

জাতীয় মহিলা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে গত বছর মহিলাদের উপর ২৮,৮১১টি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৫৫ শতাংশই ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। এ নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে তুলোধোনা করে। তার পরেই পালটা তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের চাপে সহজে মামলা নথিভুক্ত করতে পারে না। এর কারণে মহিলারা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। ফলে সেখানে অনেক মামলা ধামাচাপা পড়ে যায়। আর সেই কারণে বাংলায় মহিলাদের উপর অপরাধের ঘটনা কম লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: প্রতি ১১ মিনিটে ১ জন করে মহিলা খুন হন পরিবার বা ঘনিষ্ঠদের হাতে: রাষ্ট্রসংঘ

তৃণমূল কংগ্রেস এনসিআরবি-র রেকর্ড উল্লেখ করে বলেছিল, উত্তরপ্রদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিযোগ রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে গত বছর মহিলাদের উপর ১৬,১০৯টি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। তারপরে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে যথাক্রমে ২,৪১১ এবং ১,৩৪৩টি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিহার, মধ্যপ্রদেশ হরিয়ানা, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুতে যথাক্রমে ১৩১২টি, ১১৬৫টি ১১১৫টি ১০১১ টি এবং ৬০৮টি ঘটনা ঘটেছে। সে জায়গায় পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে ৫৬৯টি ঘটনা। যদিও ২০২২ সালে থেকে গত বছর মহিলাদের উপর অপরাধের ঘটনা দেশের কমেছে। ২০২২ সালে ৩০,৮৬৪টি এই ধরনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল গোটা দেশে। এই তথ্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পর বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস লেখে, বিজেপির রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ তা বোঝাই যাচ্ছে। বিজেপি উত্তর প্রদেশ সরকার মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। 

এই পোস্টের উত্তরে চেয়ারপার্সন উত্তরপ্রদেশের হয়ে পালটা এক্স পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘তথ্যগুলি দেখায় যে উত্তর প্রদেশ পুলিশ কোনও রাজনৈতিক চাপ ছাড়াই কাজ করে এবং মামলা নথিভুক্ত করে। এছাড়া এতে আরও বোঝা যাচ্ছে যে উত্তরপ্রদেশে মহিলারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু শাসক দলের চাপে পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ সহজে মামলা নথিভুক্ত করে না। মহিলারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি আরও দেখায় যে নারীদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। কারণ গ্রামীণ অঞ্চলে দারিদ্র্যের কারণে মহিলারা সঠিক শিক্ষা পেতে পারেন না। তারা অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন।’