Tele medicine: বন্দিদের সুরক্ষার সুবিধার্থে টেলি মেডিসিন পরিষেবা এবার চালু হবে জেলে

টেলি মেডিসিনে ভালো সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার এই টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু হতে চলেছে জেলে। অর্থাৎ এর ফলে জেলে বসেই জেলবন্দি রোগীরা সহজেই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রভাবশালীরা গ্রেফতার হলেই সেক্ষেত্রে বারবার হাসপাতালে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এনিয়ে বারবার অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধীরা। এই পরিষেবা চালু হলে সেই প্রবণতা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় টেলিমেডিসিন পরিষেবা, চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী

জেল এবং সংশোধনাগারগুলিতে এই পরিষেবা চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে প্রথমে রাজ্যের ৮টি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এই প্রকল্প চালু করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে দমদম সেন্ট্রাল জেল। তারপরে ধাপে ধাপে অন্যান্য জেল এবং সংশোধনাগারগুলিতে এই পরিষেবা চালু করা হবে। সেক্ষেত্রে ফোনে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে চিকিৎসকদের দল জেলে পৌঁছবে।

সাধারণত জেলে চিকিৎসক থাকলেও সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রয়োজন হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। জেলের বাইরে নিয়ে যেতে গেলে সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়। সে ক্ষেত্রে মহিলা বন্দি থাকলে মহিলা পুলিশের ব্যবস্থা করতে হয়। তাছাড়া হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। শুধু সময় সাপেক্ষ তাই নয়, এর ফলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং এই প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল। ফলে জেলে বসে চিকিৎসা পরিষেবা মিললে সে ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

কীভাবে এই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে?

সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ফোনে জেলবন্দি রোগীদের পরামর্শ দেবেন। আর জেলের চিকিৎসকরা তা বুঝিয়ে দেবেন বন্দিদের। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ই প্রেসক্রিপশনও দেবেন বন্দিকে। তবে যদি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন হয় তা জানাবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সেই পরামর্শ মেনে রোগীদের হাসপাতালে পাঠানো হবে। যদিও কবে থেকে এই পরিষেবা চালু হবে সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে জানা যাচ্ছে, দ্রুত চালু করা হবে এই পরিষেবা। ইতিমধ্যেই জেলে বন্দিদের জন্য ই মুলাকাত ব্যবস্থায় পরিবারের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তাছাড়া বন্দিদের আদালতে হাজির করার ক্ষেত্রেও তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।