অসমে স্কুল চলাকালীন একের পর এক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ৫০ পড়ুয়া

গুণোৎসব চলাকালীন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল অসমের একটি স্কুলে। একে একে অচেতন হয়ে পড়ল স্কুলের ৫০ জন পড়ুয়া। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার অসমের করিমগঞ্জ জেলার একটি স্কুলে। অসুস্থ পড়ুয়াদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। একই সঙ্গে স্কুলটি কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষক অসুস্থ, তাঁর জায়গায় হাওড়ার স্কুল চালাচ্ছেন মেয়ে, তুমুল বিতর্ক

স্থানীয় বিধায়ক বিজয় মালাকার জানান, শুক্রবার ৫০ জন পড়ুয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই নিজে থেকেই সুস্থ হয়ে যায়। যদিও কী কারণে এই ঘটনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিধায়ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামকৃষ্ণ নগর এলাকায় অবস্থিত রামকৃষ্ণনগর বিদ্যাপীঠে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষকরা জানান, শুক্রবার সকালে কিছু পড়ুয়া অদ্ভুত আচরণ করার পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আবার শনিবার প্রার্থনার সময় কিছু পড়ুয়া অস্বাভাবিক আচরণ করার পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত পড়ুয়ারা পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গুণোৎসব কর্মসূচির জন্য আসা মূল্যায়নকারী দীপঙ্কর দাস বলেন, সকালের সমাবেশের সময় দুই ছাত্রী মাটিতে চিৎকার করে গড়াগড়ি দিতে থাকে। স্কুলের শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। 

করিমগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা শাসক ধ্রুবজ্যোতি পাঠক অফিসারদের একটি দল নিয়ে স্কুলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রামকৃষ্ণনগর সিভিল হাসপাতালে পৌঁছন। তিনি জানান, মানসিক চাপের কারণে এটা হতে পারে। চিকিৎসকরা বলেছেন, এটি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা ছিল।  বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে ডাকা হয়েছে। এদিকে, পড়ুয়াদের অভিভাবকরা এবং স্থানীয়রা শনিবার স্কুল ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে গুণোৎসব প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে জেলা শাসক মৃদুল যাদব এই কর্মসূচি বাতিল করে আরও তদন্তের জন্য তিন দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।