‘‌সিট তো সেই গিয়ে শূন্য’‌, ইনসাফের ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করলেন কুণাল–দিলীপ

যুব সংগঠনের হাত ধরে রাজ্য–রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম। ক্ষমতা হারানোর পর এই প্রথম সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই–এর ব্যানারে ব্রিগেড ভরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তারা। আজ, রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশ ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে প্রস্তুতি। একদিন আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যুবদের বলেছেন, ব্রিগেড বড় হবে। আর তারপরই ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের দাবি, রেকর্ড গড়বে ব্রিগেডের এই জমায়েত। লালঝান্ডা নিয়ে মিছিল আসছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। তারই মাঝে সিপিএমের যুব সংগঠনের এই ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ এবং বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

এদিকে ‘যৌবনের ডাকে জনতার ব্রিগেড’ বলে স্লোগানেও তোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, বক্তাদের তালিকায় রয়েছেন— সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌ডিওয়াইএফআই–এর ব্রিগেড সমাবেশের নামে কিছু লোক ব্রিগেড যাবেন। কিন্তু সিপিএমকে ভোট দেবেন না। ব্রিগেড নতুন নয়। ২১ সালেও ব্রিগেড করেছে। তারপর শূন্য পেয়েছে। ব্রিগেডে লোক আসছে দেখিয়ে সিট তো সেই গিয়ে শূন্য। বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম। যাঁরা আজ লালঝান্ডা নিয়ে হাঁটবেন, তাঁরা চক্ষুলজ্জায় বলতে পারবেন না, তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ, যাঁদের বাড়িতে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান।’‌

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সমর্থকরা ট্রেন ও বাসে চেপে ব্রিগেডের উদ্দেশে এসেছেন। আর দলের পক্ষ থেকে ময়দানেই তাঁবু খাটিয়ে তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে ব্রিগেড নিয়ে কুণাল ঘোষের চ্যালেঞ্জ, ‘‌সিপিএমের ক্ষমতা থাকলে ৪২টা আসনে একা লড়ুক, জামানত জব্দ হবে, শূন্য পাবে। তাহলে ব্রিগেডের ভ্যালু কী আছে, ব্রিগেডের ভ্যালু নেই।’‌ ইনসাফ যাত্রায় ৫০ দিন পায়ে হেঁটে যাদবপুরে পৌঁছন। সেই কর্মসূচির সমাপ্তি হবে ব্রিগেড সমাবেশে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ইনসাফ যাত্রায় যেভাবে মানুষের সাড়া মিলেছে, তাতে উপচে পড়বে ভিড়। তবে ময়দানে বামেদের এই ‘পেশি সঞ্চালন’কে পাত্তা দিতে রাজি নয় তৃণমূল এবং বিজেপি।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌ভারতবর্ষে তাঁর কী অবদান আছে? একেবারে জিরো’‌, অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ বিশ্বভারতীর আইনজীবীর

এছাড়া বামপন্থীদের কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষও। তাঁর কথায়, ‘‌বিধানসভার আগেও ব্রিগেড করেছিলেন বামপন্থীরা। ভরিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু একটা আসনেও জিততে পারেনি। তৃণমূল তো ব্রিগেড করেনি, বিজেপি করেছিল। ব্রিগেড করা আসলে বামপন্থীদের একটা ঐতিহ্য। বহু বছর ধরে করে। যতদিন পার্টি আছে এটা চেষ্টা করবেন তাঁরা। গতবারে আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে, কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন, জানি না এবারে তাদের ডেকেছেন কি না।’‌