ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে হারলেন সাবেক এমপি ও বর্তমান প্রতিমন্ত্রী

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-১৯ এর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বেসরকারিভাবে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন । এর আগে তিনি সংসদ নির্বাচনের জন্য ধামসোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

ট্রাক প্রতীক নিয়ে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তোহিদ জং মুরাদ ঈগল প্রতীকে ৭৬ হাজার ২০২ ও বর্তমান এমপি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট পান।

এ ছাড়াও এই আসনে আরও সাত প্রার্থী তাদের সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির আইরিন পারভিন কাঁঠাল প্রতীকে ১৩৩ ভোট, গণফ্রন্টের নুরুল আমিন মাছ প্রতীকে ১১৩, তৃনমূল বিএনপির মাহাবুবল হাসান সোনালি আঁশ প্রতীকে ২৮০ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিলন কুমার ডাব প্রতীকে ১৮৪, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ইস্রাফিল হোসেন সাভারী আম প্রতীকে ৫৬৫, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি একতারা প্রতীকে ১৬৯ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নোঙ্গর প্রতীকে ১৪০ ভোট পান ।

২০১৩ সালে রানা প্লাজার ভবন ধ্বসের পর সমালোচনার মুখে দল থেকে ছিটকে পড়েন সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তোহিদ জং মুরাদ। পরে এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এনামুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা-১৯ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। টানা দশ বছর সংসদ সদস্য থাকার পরও সাভারের আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে পারেননি।

সাভার উপজেলার নেতাকর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন। সাইফুল ইসলামের জয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ১০ বছর পর রাজনৈতিক অভিভাবক পেলো ঢাকা-১৯ আসনের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও গত সাত বছর ধামসোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালে ব্যাপক উন্নয়ন করে জনপ্রিয় হন তিনি। সংসদ নির্বাচনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন।