Tarmac Issue:মধ্যরাতে মিটিং জ্যোতিরাদিত্যর! টারম্যাকে বসে খাওয়ার ভিডিয়ো ঘিরে ইন্ডিগো, মুম্বই বিমানবন্দরকে শোকজ মন্ত্রকের

সদ্য ইন্ডিগো পাইলটকে ঘুষিকাণ্ডে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এরই মাঝে সামনে এসেছে আরও এক ভাইরাল ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমান বন্দরের টারম্যাকে বসে যাত্রীরা খাবার খাচ্ছেন। সেই বিমানটি মুুম্বই থেকে যাচ্ছিল দিল্লি। দিল্লিতে কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতার সমস্যার ফলে বিমান দেরিতে ছাড়ে বলে খবর। এই ঘটনার ভিডিয়ো সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। মন্ত্রকের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কার্যত মধ্যরাতে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানেই স্থির হয় ঘটনার মন্ত্রক কোন পথে হাঁটবে।

এর আগে ঘটনা ঘটেছিল সেই দিল্লি- গোয়া বিমানে। উল্লেখ্য, ওই বিমান ১২ ঘন্টা দেরিতে ছাড়ে। আর তা নিয়ে ক্ষোভের জেরে ওই বিমানের যাত্রী ঘুষি মারেন পাইলটকে। এদিকে, মুম্বই বিমানবন্দরে যাত্রীদের দেখা যায় বিমানের টারম্যাকে বসে খাচ্ছেন। এই ভয়াবহ ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। তাপরই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তাঁর মন্ত্রকের বিশেষ আমলাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। এরপর স্থির হয়েছে, মুম্বই বিমানবন্দর ও ইন্ডিগোকে এই ইস্যুকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলার বিষয়টি। বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিগো ও মুম্বই বিমানবন্দরের কাছে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইন্ডিগো এবং এমআইএএল উভয়ই পরিস্থিতির পূর্বাভাস এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য উপযুক্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে সক্রিয় ছিল না’। এই বিষয়ে কারণ দর্শানোর কথা আজকের মধ্যেই করতে বলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মন্ত্রক। ফলে দুই তরফেই জবাব আজ রাতের মধ্যে দিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র বলছে, একটি প্রান্তিক বে সি-৩৩ তে ওই বিমানকে রাখার জেরে এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা রয়েছে, ‘যা যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে এবং টার্মিনালে বিশ্রাম কক্ষ এবং জলখাবারের মতো মৌলিক সুবিধাগুলি পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।’

সোমবার, মুম্বাইতে আটকে পড়া যাত্রীদের একটি বিমানের কাছে টারমাকে লাইন দিয়ে বসে খাবার খাওয়ার ছবি এবং ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এই অদ্ভুত চিত্রটি অত্যধিক কুয়াশার কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে তীব্র বিমান বাধার সম্মুখীন হওয়ার কারণে ঘটেছিল। উল্লেখ্য, দিল্লিতে প্রবল কুয়াশার জেরে কমে গিয়েছিল দৃশ্যমানতা। তারফলে একাধিক বিমান বাতিল হয়। কিছু বিমান দেরিতে ছাড়ে। তারমধ্যে রয়েছে ওই দিল্লি-গোয়া বিমানটি। যে বিমানে পাইলটের ঘোষণার সময় একজন যাত্রী গিয়ে তাঁকে ঘুষি মারেন। বিমানটি ১২ দেরিতে ছাড়ে। ঘটনার জেরে যাক্রী সাহিল কাটারিয়াকে গ্রেফতার করা হলেও তিনি পরে জামিনে ছাড়া পান।