ভেসেলের ভাড়া বেড়েছে ৩৪৪ শতাংশ, গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের লুঠ করেছে মমতা সরকার: শুভেন্দু

ভেসেলের ভাড়া বাড়িয়ে গঙ্গাসাগর মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের নিংড়ে টাকা রোজগার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তথ্য তুলে ধরে তিনি জানিয়েছেন, মেলা উপলক্ষে ভেসেলের ভাড়া ৩৪৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যা থেকে রাজ্যের ৩৮ কোটি টাকা বাড়তি রোজগার হয়েছে। গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের ওপর বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপানোয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ‘দেউলিয়া’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দুবাবু।

সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার মোটা টাকা রোজগার করতে সাধারণ মানুষকে নিংড়াচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলায় রাজ্য সরকারের খরচে বিশ্বমানের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে রোজ ঢ্যাঁড়া পেটানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা অনেকটাই আলাদা। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শূন্য ভাঁড়ার পূর্ণ করতে গঙ্গাসাগর মেলাকে ব্যবহার করেছে। গঙ্গাসাগরে আসা পুণ্যার্থীদের অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি ভাড়া দিতে বাধ্য করা হয়েছে। দয়া করে দেখুন, কী ভাবে দূর দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এটাই দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’।

শুভেন্দুবাবু মনে করান, ‘এমনকী ডিসেম্বরে হওয়া টেট পরীক্ষার ফর্মের দামও ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ফর্মের দামে। ৩ লক্ষ ০৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষা দিয়ে থাকলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৫ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা আয় করেছে। যদিও এই পরীক্ষার সঙ্গে নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই’।

 

শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট থেকে পাওয়া তালিকা।

এর পর এক তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছেন, নামখানা থেকে বেণুবনের ভেসেলের ভাড়া যাত্রীপিছু সাধারণ সময় যেখানে ৪০ টাকা সেখানে মেলার সময় নেওয়া হয়েছে ৮৫ টাকা করে। ফলে ১১২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ভাড়ায়। কাকদ্বীপ থেকে কচুবেড়িয়ার ভেসেল ভাড়া সাধারণ সময় ০৯ টাকা। মেলার সময় ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৪০ টাকা করে। ভাড়ার বৃদ্ধি হয়েছে ৩৪৪ শতাংশ। শেষে তিনি লিখেছেন, যদি ধরে নিই ৫০ লক্ষ মানুষ গঙ্গাসাগর মেলায় এসেছিলেন তাহলে রাজ্য সরকার ৩৮ কোটি টাকা রোজগার করেছে।

গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুম্ভ মেলা কেন্দ্রীয় সাহায্য পেলে গঙ্গাসাগর কেন পাবে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, এবারের গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনে খরচ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা।