রেশন দুর্নীতির পরেই সতর্ক রাজ্য, রাইস মিলগুলিতে কড়া নজরদারির নির্দেশ

রেশন দুর্নীতিতে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই দুর্নীতিতে স্বাভাবিকভাবেই চরম অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য। তাই ভোটের আগে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য এবার রাইস মিলগুলির উপর নজর রাখবে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে রাইস মিলগুলিতে কত কত ধান ঢুকছে? সেই পরিমাণে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা? নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাল রাজ্য সরকারকে সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা? তা খতিয়ে দেখবে খাদ্য দফতর।

আরও পড়ুন: চুরির আটা বেচে ৫০৪ কোটি কামিয়েছে বাকিবুর, চার্জশিটে জানাল ইডি

খাদ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, এবার রাইস মিলের হিসেব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। সাধারণত রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে সরাসরি তা পাঠিয়ে দেয় রাইস মিলে। সেই চাল সরকারকে সরবরাহ করা হচ্ছে নাকি বাজারে পাচার করা হচ্ছে? তার উপরেও নজরদারি চালানো হবে। সম্প্রতি অনেক রাইস মিলের বিরুদ্ধে অসাধু আচরণের অভিযোগ সামনে এসেছে। মূলত সেই কারণে এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। খাদ্য দফতরের নির্দেশে জানানো হয়েছে রাইস মিলে ধান ঢোকার ১৫দিনের চাল রাজ্য সরকারকে সরবরাহ করতে হবে। চলতি মরশুমে ডিসেম্বরের মধ্যেই যে সমস্ত রাইস মিলে ধান ঢুকেছে তাদের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রেশনের চাল সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ম মেনে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা তার উপরে নজদারি চালানো হবে। এর জন্য অনলাইন সিস্টেম চালু হচ্ছে। তাতে প্রতিদিনকার হিসেব খতিয়ে দেখা হবে।

এর পাশাপাশি চাষিদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের কাজেও যাতে কোনও রকমের সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্য আধিকারিকদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হন সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ ধান সংগ্রহ হয়েছে তাতে চাষিরা মাথাপিছু ৩০ কুইন্টালেরও কম ধান বিক্রি করেছে সরকারকে। সেক্ষেত্রে ধান বিক্রি আরও বাড়াতে আগ্রহী করে তোলার জন্য শিবিরের সংখ্যা বাড়তে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য , চাষিদের যাতে কেউ ঠকাতে না পারে তার জন্য ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চাষিদের কাছ থেকে যে ধান সংগ্রহ করা হবে তা ইন্টিগ্রেটেড ওয়েয়িং মেশিনে মাপা হবে।