Train Derailed in WB: বাংলায় লাইনচ্যুত ট্রেন, সকাল সকাল কোন রুটে ব্যাহত রেল পরিষেবা?

পশ্চিম মেদিনীপুরে লাইনচ্যুত মালগাড়ি। আজ সকাল সকাল হাওড়া-খড়গপুর শাখায় লাইনচ্যুত হয় একটি মালগাড়ি। রিপোর্ট অনুযায়ী, নন্দাইগাজন স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। এর জেরে এই রুটে আপাতত বন্ধ ট্রেন চলাচল। তবে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রেললাইন মেরামতির কাজ। এর জেরে পাঁশকুড়া-সহ একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়েছে বহু ট্রেন। এদিকে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রেলযাত্রীদের। উল্লেখ্য, বিগত দিনগুলিতে দেশ জুড়ে একাধিক জায়গায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। ঘটেছে ভয়াবহ সব রেল দুর্ঘটনা। সম্প্রতিক দুর্ঘটনার সেই দীর্ঘ তালিকায় যুক্ত হল আজকের এই দুর্ঘটনাও। এর আগে গতবছরই ২৬ ডিসেম্বর বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যায় বিকানের-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে আসানসোলের মেন লাইনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকানের হাওড়া ট্রেনটি যাওয়ার সময় আসানসোল স্টেশন ছাড়িয়ে একটু এগোতেই দাঁড়িয়ে পড়ে। বিকট আওয়াজ হয়। জানা যায়, ট্রেনের ওপর গিয়ে পড়ে ওভারহেড তার এবং বিদ্যুতের খুঁটি। (আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটের ওপর সাইবার হানা, রুশ সরকারের মদতেই হ্যাকিং, দাবি মার্কিন সংস্থার)

তার আগে গতবছর ডিসেম্বরে একই রাতে মহারাষ্ট্রে এবং চেন্নাইয়ের কাছে দু’টি পৃথক ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়েছিল দু’টি ট্রেন। দু’টি ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল দু’টি মালগাড়ি। এর জেরে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি মালগাড়ি চেন্নাই হারবরে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল গত ১০ ডিসেম্বর। দুর্ঘটনাটি ঘটে চেংলাপাট্টুতে। মালগাড়িটির পাঁচটিরও বেশি ডাব্বা ট্র্যাক থেকে নেমে যায়। ঘটনার ভিডিয়ো সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, রেললাইনে বিশাল বড় ফাটল। আবার সেই রাতেই মহারাষ্ট্রেও লাইনচ্যুত হয়েছিল একটি মালগাড়ি। এর জেরে অন্তত ২০টি এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিপথ বদল করতে হয়েছিল রেলকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের কসারা স্টেশনের সামনে এক মালগাড়িটি লাইনচ্যুত হয়। এর জেরে কসারা থেকে ইগতপুরী ডাউন এবং মিডল লাইনে ট্রেন ছুটতে পারেনি দীর্ঘক্ষণ।

এদিকে এর কয়েকদিন আগে গত ৪ ডিসেম্বর ভোররাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন একটি দূরপাল্লার ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল বালি বোঝাই ট্রাকের। এর জেরে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ১৫ জন যাত্রী আহত হন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফরাক্কার বল্লালপুরে আচমকা রেললাইনের উপর চলে এসেছিল একটি পণ্যবাহী ট্রাক। এই ঘটনা দেখে ট্রেন চালক তড়িঘড়ি ইমারজেন্সি ব্রেক কষেন। সেই সময় ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। এদিকে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় ইঞ্জিনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।