এসএফআই–কে শক্তিশালী করতে দেবাঞ্জন–প্রণয় জুটিকে আনা হল, বাড়বে কি বিপ্লব?‌

নতুন প্রজন্মকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। এই কথা কিছুদিন আগেই বলেছিলেন অশীতিপর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আর সেই কথা মাথায় রেখেই এবার তাদের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে বদল ঘটানো হল। এবার নতুন প্রজন্মের তরুণদের হাতে ছাত্র সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল। এটা সিপিএম কোনও ভুল করেনি। বরং কাজটি করতে দেরি করল বলেই চর্চা হচ্ছে। বরাবরই দেখা গিয়েছিল, সিপিএমের ছাত্র সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। যার মাধ্যমে নতুন নেতা–নেত্রী উঠে আসত। আন্দোলন করে তোলপাড় করে দিত। সেই সব এখন ইতিহাস।

এদিকে আজ, বুধবার মালদায় শেষ হয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ৩৮তম রাজ্য সম্মেলন। আর সেখান থেকেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হল ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের। নবনির্বাচিত সম্পাদক হলেন দেবাঞ্জন দে। সভাপতি করা হয়েছে প্রণয় কার্য্যী এবং নবনির্বাচিত ছাত্রসংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক হলেন সৌভিক দাস বক্সি। এখন এদের হাত ধরেই ছাত্র আন্দোলনে জোয়ার আনতে চাইছে সিপিএম। কারণ একদিকে তরুণ মুখ। অপরদিকে তাজা ছেলেরা আন্দোলনের মাত্রা তুঙ্গে তুলতে পারবে। এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই ৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পিছনে ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

অন্যদিকে এসএফআইয়ের ইতিহাসে এটা প্রথম যে, উত্তরবঙ্গের কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হল। আসলে উত্তরবঙ্গ দিয়েই এবার প্রভাব বিস্তার করতে চায় সিপিএম। তাই ছাত্রনেতা দিয়েই কাজটি সারতে চাইছেন শীর্ষ নেতারা। আবার মানুষের হয়ে কাজ করা থেকে শুরু করে ভোটে খাটা পক্ককেশের নেতা দিয়ে সম্ভব নয়। তাই কোচবিহারের ছাত্রনেতা প্রণয় কার্য্যীকে করা হয়েছে নতুন সভাপতি। এই এসএফআইয়ের দায়িত্ব ছ’বছর ধরে ছিল সৃজন ভট্টাচার্য ও প্রতিকুর রহমানের হাতেই। কিন্তু তাঁদেরকে এখন আরও বড় আকারে কাজে লাগানো হবে বলে সূত্রের খবর। তাছাড়া মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে সৃজন ও প্রতিকুর জুটির। ফলে এখন দেবাঞ্জন–প্রণয় জুটি কাজ করবে।

আরও পড়ুন:‌ কলকাতা পুরসভায় ৪৭ কোটি টাকার ভুল হিসাব ধরা পড়ল,‌ জোর তৎপরতা শুরু

এছাড়া প্রথম থেকেই নাম উঠে আসছিল দেবাঞ্জন দে’‌র। লড়াকু নেতা এবং পরিশ্রমী হিসাবে পরিচয় বহুবার দিয়েছেন তিনি। কলকাতা জেলা সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি কলকাতা জেলা সংগঠনে বদল হয়েছে। এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বর্ণনা মুখোপাধ্যায়। সম্পাদক হন দিধীতি রায়। তাই এবার গোটা ছাত্র সংগঠনের মাথায় এসে বসলেন দেবাঞ্জন–প্রণয়। কলকাতা জেলা কমিটিতে দুই মহিলা মুখকে তুলে আনা হয়েছে। আর দেবাঞ্জনকে ৩৮তম রাজ্য সম্মেলনে ঠিক করা হল নবনির্বাচিত সম্পাদক।