পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী নেই, ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালাতে চায় জেলা পুলিশ

রাজ্য পুলিশে দীর্ঘদিন ধরেই লোকবল কম রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মিটিং মিছিল হোক বা রাজনৈতিক সমাবেশ, সেক্ষেত্রে নজরদারির জন্য ড্রোনের সাহায্য নিয়ে থাকে পুলিশ। এবার সেই ড্রোনের সাহায্যেই দৈনন্দিন নজরদারি চালাতে চাইছে রাজ্য পুলিশ। প্রতিটি থানা এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে কীভাবে নজরদারি চালানো হবে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আকাশে উড়ছে ড্রোন, কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে গিয়ে চোখে পড়ল পাইলটের

সাধারণত জেলাগুলির থানাতে লোকবল কম থাকার সমস্যা দীর্ঘদিনের। এক একটি থানা প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটারের এলাকা জুড়ে হয়ে থাকে। অথচ থানায় মেরে কেটে ৩০ থেকে ৪০ জন পুলিশ কর্মী থাকছে। কিন্তু, এত বড় এলাকা সামলাতে গেলে সে ক্ষেত্রে ১০০–এর বেশি কনস্টেবল এবং ২০ থেকে ২৫ জন এসআই থাকা প্রয়োজন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশকর্মীর ব্যাপক ঘাটতি থাকছে। তার ওপর আবার কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ বা বিশেষ কোনও মিটিং-মিটিংয়ের জন্য অথবা ভিআইপির নজরদারির জন্য পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় তাতে সংখ্যাটা আরও কমে যায়।আবার প্রতি মাসে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী অবসর নেওয়ার ফলে সংখ্যাটা আরও কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশাল এলাকার নজরদারি চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী থাকছে না।

সাধারণত কলকাতা লাগোয়া জেলা বা কমিশনারেটগুলিতে গভীর রাতে পুলিশের টহলদারি ভ্যান চোখে পড়লেও দূরের জেলাগুলিতে সেরকম চোখে পড়ে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের নজরদারি না থাকায় রাতের অন্ধকারে বাড়ছে অপরাধ। এই পরিস্থিতিতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে চাইছেন পুলিশের কর্তারা। সাধারণত যে সমস্ত এলাকায় পায়ে হেঁটে নজরদারি সম্ভব নয় সেই সমস্ত এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালিয়ে সহজে ছবি পাওয়া যাবে। রাতের ছবি যাতে অনায়াসে ক্যামেরার মাধ্যমে ধরা পড়ে তার জন্য নাইট ভিশন ক্যামেরা সহ ড্রোন কিনতে চাইছে পুলিশ। তবে সে ক্ষেত্রে কতসংখ্যক ড্রোন কিনতে হবে? কতটা ক্যামেরা কিনতে হবে? প্রতিটি থানাকে কতগুলি করে ড্রোন ক্যামেরা দেওয়া হবে? তার জন্য কত করে খরচ পড়বে? তাছাড়া আলাদা ড্রোন ইউনিট গড়ে তোলা, প্রভৃতি বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন পুলিশের আধিকারিকরা।