‘‌২ তারিখ থেকে আমি নিজে ধরনায় বসব’‌, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি মমতার

আল্টিমেটাম শেষ হতে চলেছে। তিনি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে একসপ্তাহের আল্টিমেটাম। এবার সেখান থেকেই উঠল চরম হুঁশিয়ারি। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে সেই আওয়াজ শুনতে পেল সাগরের মানুষজনও। কারণ তিনি আর সহ্য করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এটাই বড় আকার নিতে চলেছে। সরাসরি রাস্তায় নামতে চলেছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বকেয়া পাওনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আগেই সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার চরম হুঁশিয়ারিও দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে বাংলার মানুষের স্বার্থে রাস্তায় আবার ধরনায় বসতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের উপর বাড়তি চাপ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ, সোমবার কোচবিহারের সরকারি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সাতদিন টাইম দিয়েছি। আমাদের টাকা ফিরিয়ে দাও। মানুষ ঘর পাবেন না, নিজের পরিশ্রমের টাকা পাবেন না, আর তোমরা অট্টালিকায় থাকবে!‌ এটা হবে না। এটা আমি বরদাস্ত করব না। টাকা না পেলে যা করার করব। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা না দিলে ২ তারিখ থেকে আমি নিজে ধরনায় বসব।’‌ তবে কোথায় ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী সেটা বলেননি।

অন্যদিকে আগেও এই বকেয়া টাকার দাবিতে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নয়াদিল্লির রাজপথে আছড়ে পড়েছিল আন্দোলন। পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌ওদের নিয়ে বৈঠক করব। তার পরই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব। তখনই সব জানাব। ইলেকশনের আগে বলবে, এই তো আমি দিলাম। যেন জমিদারির টাকা দিচ্ছে। মেয়েরা কাপড় কিনতে গেলেও জিএসটি দিতে হচ্ছে। বই কিনতে গেলেও জিএসটি। আমার এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছো আর আমার ভাগটা দিচ্ছো না।’‌

আরও পড়ুন:‌‌ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, রাহুল গান্ধীকে গালিগালাজের জের

এছাড়া এক ইঞ্চি জায়গা যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ছাড়া হবে না সে কথাও বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‌আমরা মানুষের পাশে আছি, থাকব। কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পে মানুষকে ৩৫ থেকে ৪০ দিন কাজ দিত। আমরা নিজেদের উদ্যোগে এখন ১০০ দিনের প্রকল্পে মানুষকে ৪০ শতাংশ কাজ দিয়েছি। কাজ করব আমরা, আর ওরা খালি বসে বিজ্ঞাপনে মুখ দেখাবে। মানুষ মরে গেলে ছবি দিতে পারে! সেটা এখনও দেওয়া শুরু করেনি। তবে হয়তো সেখানেও সেলফি লাগিয়ে দেবে।’‌