Suvendu on CAA Implimentation: CAA কার্যকর হলে নাগরিকত্ব পেতে সম্ভবত রাজ্যের কোনও ভূমিকা থাকবে না: শুভেন্দু

ফেব্রুয়ারি মাসেই গোটা দেশে CAA লাগু হবে। আর CAA-র অধীনে সরাসরি কেন্দ্রের কাছে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন উদ্বাস্তুরা। এমনই আশা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করতে পারবেন না। মমতা দেখবেন আর লুচির মতো ফুলবেন।

শুভেন্দু বলেন, ‘CAA ওনাকে করতে হবে না। ফেব্রুয়ারি মাসে শেষের দিকে CAA কার্যকর হয়ে যাবে। আমার কাছে যেটুকু আমার কাছে খবর আছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি নাম নথিভুক্তিকরণের সুযোগ দেবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখানকার জেলাশাসকরা ওঠবস করেন। একবার CAA কার্যকর হয়ে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ফালতু কথা কেউ শুনবে না’।

তাঁর দাবি, ‘দেশভাগের কারণে যারা বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পালিয়ে এসেছেন তারা সম নাগরিকত্বের দাবি জানাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে CAA-র নাম বদল করে NRC করে সংখ্যালঘুদের তাড়াবে বলে ভোট নিয়েছেন ২১এর বিধানসভা নির্বাচনে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি নির্দিষ্ট ভাবে বলেছেন, এটাতে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে CAA লাগু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখবেন আর লুচির মতো ফুলবেন। গোটা বাংলায় বিজয় মিছিল বার করার জন্য প্রস্তুতি চলছে’।

সোমবার কোচবিহারের ‘প্রশাসনিক সভা’য় মমতা বলেন, ‘ওঁরা বিএসএফ ও এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ভোট করতে চায়। বিএসএফ অত্যাচার করলে সরাসরি থানায় এফআইআর করবেন। বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় আলাদা পরিচয়পত্র দিতে চাইছে। নেবেন না। ওরা কার্ড দেওয়ার কে? কার্ড দেবে রাজ্য। আপনাদের কাছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে, সেটাই যথেষ্ট। ওই কার্ড নিলে এনআরসি-র আওতায় পড়ে যাবেন। আপনাদের সবাইকে বাদ দিয়ে দেবে’।

শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক সভায় কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। সাত দিনের মধ্যে গোটা দেশে CAA কার্যকর করবে মোদী সরকার।’